মায়ের মুখ থেকে শেখা ভাষাই মাতৃভাষা। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। মাতৃভাষার ভিত্তি মজবুত না হলে অন্য ভাষাও আমাদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতেই বাংলার ছেলেরা একসময় রাজপথে নেমে এসেছিল। সেদিন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ আরো অনেকে শহিদ হন। পরে মাতৃভাষা বাংলা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে। শহিদদের আত্মত্যাগের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তৈরি হয় শহিদ মিনার। প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করি। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় শহিদদের স্মরণে নির্মিত মিনার এখন শুধু একটি মিনার নয়, প্রেরণার উৎস। বর্তমান প্রজন্মের কাছে গর্ব করার মত সমৃদ্ধ একটি ইতিহাসের সাক্ষী শহিদ মিনার। পৃথিবীতে নিজের মাতৃভাষার জন্য এমন আত্মদানের ইতিহাস বিরল। তাই সময়ের দাবি আন্তর্জাতিকতা লাভ করে শহিদ দিবস এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বব্যাপী স্মরণ করা হয় বিশেষ মর্যাদায়। ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই আসে ভাষার কথা। যাঁদের আত্মত্যাগে বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে তাঁদের সম্মানের জন্য বিভিন্ন আনুসঙ্গিকতার মাধ্যমে ভাষার প্রয়োগ বা চর্চায় যেন ধারাবাহিকতা বজায় রাখি। ভাষা শহিদদের দেশ বা জাতি কি কিছু দিতে পেরেছে? অন্তত যথাযথ প্রয়োগ বা চর্চা হলেও তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে। বাংলা হোক সর্বজনীন। সমৃদ্ধ বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা বা প্রয়োগের চেষ্টা করি সকলেই।