মানুষে মানুষে বন্ধন, ভালোবাসা ও বিশ্বাস হ্রাস পেতে পেতে এতটাই অবক্ষয় ঘটেছে যে, এখন তা এগোতে এগোতে ফ্যামিলির ভেতরে ঢুকে পড়েছে। মানুষ এখন এতটাই স্বাধীন প্রিয়, সমাজতো দূরের কথা পরিবারের অভিভাবক ও সদস্যদের প্রতিও বিশ্বাসহীন ও ভালোবাসাহীন হয়ে পড়েছে। কিশোর থেকে শুরু করে বড়, সব পর্যায়ের মানুষের মধ্যে ইগো এতটাই জায়গা করে নিয়েছে, যেকোন পরিস্থিতিতে মানুষ এখন নিজেই নিজের বুঝ- ব্যবস্থার মালিক, কাজের মালিক। কোন খারাপ পরিস্থিতিতে ফ্যামিলি মেম্বার’সদের সাজেশন কিংবা কারো মতামত যাচাই-বাছাই এর প্রয়োজনটুকু মনে করছে না। যার কারণে বিপথগামী হতে হচ্ছে চলার পথে। আর বেশিরভাগ মানুষ এতটাই উন্মুক্ত ও স্বাধীনচেতা যে, একজন আরেকজনকে সহ্য করতেও কষ্ট হচ্ছে। সম্পর্ক নষ্ট হতে হতে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে মানুষ এখন পশু-পাখি এডিক্টেড। কারণ এ্যানিমেলস্ দের একটা বড় সাইড, তারা বাকহীন। আর এ জন্যই তাদের প্রতি মানুষের আকর্ষন ও আন্তরিকতার বিশেষ কারণ। তারা সাউন্ডলেস বলেই তাদের নেই কোনো অভিযোগ। তাদের সাথে চাইলে যখন যা খুশি করা যেতে পারে, নেই কোন বাউন্ডিং। তারা কেবল ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসতেই জানে আর কিছুই পারে না। এটা থেকে আরও একবার স্পষ্ট যে, ‘বোবার শত্রু নেই’ কথাটি। একজন রেপিস্টও তার ঘরের পোষাটি না খেয়ে আছে কিনা একবার চিন্তা করে কিংবা অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় মৃত্যু ভয়ে। কিন্তু রাস্তার ঐ কিশোরী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আহত করতে দু’বার চিন্তা করে না সে মারা যাবে কিনা! সময়ের একটা ছোট বাস্তবতা তুলে ধরলাম।