চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত বা উচ্ছেদ অভিযানে স্থিতাবস্থা দেয়নি আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লোহাগড়ার ১১ ইটভাটার মালিকদের আবেদন আগামী ১৬ আগস্ট শুনানির তারিখ রেখেছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বুধবার এ আদেশ দেন। ইটভাটা মালিকদের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন ফকির। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। আর পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ কামরুল হোসেন। আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, শুনানির পর আদালত হাই কোর্টের আদেশে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ না করে আগামী ১৬ আগস্ট আবেদনটি শুনানির জন্য রেখেছেন। ফলে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই, অভিযান চলবে।” এইচআরপিবির করা এক আবেদনে হাই কোর্ট গত বছর ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়।
সেই সঙ্গে যেসব ইটভাটা কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে তাদের তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়।
হাই কোর্টের এ আদেশের পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক একটি কর্মসূচি তৈরি করে ইটভাটা বন্ধ করার জন্য একজন নির্বাহী হাকিম নিয়োগ দেন।
গত ৩১ জানুয়ারির এক আদেশে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেয়।
চট্টগ্রামের ডিসি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে এ নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়া আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের তারিখ রাখে উচ্চ আদালত।
হাই কোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে লোহাগড়ার ১১টি ইটভাটা মালিক আপিল বিভাগে আবেদন করে।
বুধবার এ আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ইট ভাটা লাইসেন্স ছাড়া চলতে পারে না। কিন্তু শত শত অবৈধ ইটভাটা চট্টগ্রামে চলছে। এতে পরিবেশ মারাত্মক দূষণের শিকার হচ্ছে। আর আপিলকারীদের ( লোহাগড়ার ১১ ইভাটা) ইটভাটাগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই।
আপিলকারী পক্ষের আইনজীবী মো. মমতাজউদ্দিন ফকির শুনানিতে বলেন, হাই কোর্ট বন্ধ করার আদেশ দিলেও প্রশাসন তা ভেঙে ফেলছে। সে কারণে স্থগিতাদেশ বা স্থিতাবস্থা জারি করা হোক। কিন্তু আপিল বিভাগ তাতে সাড়া দেয়নি।












