এক মৌসুমেই ১৫০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন

সীতাকুণ্ড

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর উপজেলায় হেক্টর প্রতি গড়ে ২০ টন করে সর্বমোট ৬০ হাজার টন শিম উৎপাদন হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। ফলে প্রতি কেজি শিম গড়ে ২৫ টাকা দরে হিসেব করলে এবার দেড়শ কোটি টাকার শিম উৎপাদন হয়েছে সীতাকুণ্ডে। শিমের এই বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের জমিতে, জমির আ’লে, খালের পাড়ে, বেড়িবাঁধের দুইপাশে, পাহাড়ে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশসহ সব জমিতেই শিমের চাষ করেছেন। পৌরসভার নুনাছড়ার কৃষক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, এবারো শিম চাষ লাভজনক হয়েছে। এই চাষে তিনি মাত্র ৩ মাস সময় দিয়ে ভালো আয় করেছেন বলে জানান। বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের উত্তর ফেদাইনগরের শিম চাষি জসিম উদ্দিন বলেন, বংশ পরম্পরায় কাত্তিকোটা, ছুরি, পুঁটি, বাটাসহ ছয় ধরনের শিমের চাষ হয়ে আসছে সীতাকুণ্ডে। মৌসুমের প্রথম থেকে শুরু করে মাঝামাঝি পর্যন্ত পরিপক্ব শিম পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। এরপর দাম কমে গেলে কাঁচা শিমের বিচি খুলে নিয়ে বিক্রি করা হয়। যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘খাইস্যা’ নামে পরিচিত। শুকনো শিমের বিচি সারা বছরই বিক্রি হয়।
পৌর সদরের শেখ নগর এলাকার চাষি মনোরঞ্জন দাশ বলেন, এখন আমার প্রতি কেজি শিম ২৫-৩০ টাকা বিক্রি করছি। তবে আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমে যাবে। তারপরও শিমচাষ বোরো ধানের চেয়ে লাভজনক। সবচেয়ে বড় কথা সীতাকুণ্ডের মাটি শিম চাষের জন্য উপযোগী। সীতাকুণ্ডের শিম রফতানি হলে আমরা আরও বেশি লাভবান হব।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র নাথ জানান, দক্ষিণ সীতাকুণ্ডে ফসলি জমি কম, শিল্প-কারখানা বেশি। উত্তর সীতাকুণ্ডে চাষের জমি বেশি। শীতকালে এ উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শাক সবজির চাষ হয়। এর মধ্যে শিম চাষ হয় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। বিশেষ করে বারৈয়ারঢালা, নুনাচরা, বটতল, শেখপাড়া, গুপ্তাখালি, বাঁশবাড়িয়া, মুরাদপুর, সৈয়দপুর, বাড়বকুণ্ড এলাকায় শিম চাষ বেশি হয়। তিনি জানান, দেশের অন্যান্য স্থানে একই জমিতে তিনবার চাষ হয়- আউশ, আমন, বোরো। কিন্তু সীতাকুণ্ডে বোরো ধানের বদলে চাষিরা শিমের চাষ করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইনজীবীদের মতামত শুনবে হাইকোর্ট
পরবর্তী নিবন্ধঅবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা নেই