মানুষের জীবনটা বড়ই বিচিত্র। কে কখন কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় তা কেউই অনুধাবনের সুযোগ নেই। তারপরও ভাল থাকার জন্য প্রতিনিয়ত মানুষ জীবনের সাথে সংগ্রাম করে চলছে। এতে কেউ সফল হয় কেউবা ব্যর্থ। জাগতিক নিয়মে মানুষের অসীম শক্তি ও ক্ষমতা সবসময়ই নতুন সুযোগ তৈরী করে দেয়। তাই প্রতিটি মুহূর্তই অভিজ্ঞতার। মানুষ নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে। ভাল-মন্দ, ভুল-ত্রুটি বোঝার মত অনুভূতি না থাকলে কঠিন সময়ে সে মানুষ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে বিষন্বতায় ভুগে নিজের ভাললাগাটুকুও অসহ্য হয়ে উঠে। বিষন্নতা কাটাতে এ সময়টুকুতে যে কারোরই মানসিক সাপোর্ট একান্তই জরুরী। নিজের পরিবার কিংবা খুব কাছের কেউ এর সহযোগী হতে পারে।
জীবনের কোনো কিছুই যেমন স্থায়ী না, তেমনি এই খারাপ সময়টাও একসময় শেষ হয়। এটাই বাস্তবতা। একটু ভাবলে বোঝা যায়, চলমান জীবনে ছোটখাটো নানা কঠিন সময় আরও এসেছে, জীবনে ঘটে যাওয়া সেসবটুকুও পার করে আমরা ঠিকই এগিয়ে চলেছি। এভাবে সামনে আরও নানা সুন্দর ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা আমাদের সবার জীবনে অপেক্ষা করে আছে। কাজেই, সব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য জীবনকে ভালবাসতে হবে। কোন প্রকার হীনমন্যতা না রেখে একে অপরের সহযোগী হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। নিজের দেখার দৃষ্টি একটু পরিবর্তন করলেই সহনীয় হয়ে উঠতে পারে এই দুঃসহ সময়টা। নেতিবাচক চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
নিজের ভুলের জন্য অনুশোচনা থাকা এবং অন্যের ভুলে ক্ষমা করার মানসিকতা থাকতে হবে। অবসরে নিজেকে কিছু না কিছুতে ব্যস্ত রাখতে হবে। নিজের সামর্থের বাইরে কোন কিছু করতে যাওয়া উচিত নয়। সময়, অবস্থান সবকিছুতেই সঠিক ব্যবস্থাপনার ভার একান্তই নিজের। মোটকথা জীবনকে উপভোগ করতে হলে তার পরিচর্যা নিজেকেই করতে হবে।