বান্দরবান পৌরসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। নৌকার প্রার্থী মো. ইসলাম বেবী, ধানের শীষ প্রার্থী মো. জাবেদ রেজার সঙ্গে নারিকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাছির উদ্দিনকেও হিসাবে রাখছেন তারা। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দলীয় অন্তঃকোন্দল স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাছির উদ্দিনের ভোট ব্যাংক ভারী করছে দাবি স্থানীয়দের। তিন প্রার্থী প্রত্যেকের পোস্টার আর লিফলেটে ছেয়ে গেছে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাট এবং হাট-বাজার।
এদিকে গতকাল শনিবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা এবং নারিকেল গাছ প্রতীকের ২ মেয়র প্রার্থীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পাড়া এলাকায় আচরণবিধি না মেনে সকাল বেলায় প্রচার-প্রচারণায় হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. ইসলাম বেবীর সমর্থকদের ৫ হাজার টাকা এবং নারিকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাছির উদ্দিনের সমর্থকদের ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়েসুর রহমান।
শনিবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম বেবী গণসংযোগ চালিয়েছেন মেম্বারপাড়া, ওয়াবদা ব্রিজসহ আশপাশের এলাকায়। এসময় তার সাথে ছিলেন কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান খোকন, শাহানারা আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম চৌধুরী, সামশুল আলম প্রমুখ। অপরদিকে এদিন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ রেজা প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়েছেন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বনরুপা পাড়াসহ আশপাশের এলাকায়। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সভানেত্রী মাম্যাচিং, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রিটল বিশ্বাসসহ সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সমর্থিত নারিকেল গাছ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাছির উদ্দিন প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়েছেন মেম্বার পাড়াসহ আশপাশের এলাকায়। এসময় সাথে ছিলেন কাউন্সিলর প্রার্থী মো. কামরুল হাসান বাচ্চু, মোসাম্মৎ রাহিমা বেগমসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৫ জন প্রার্থী। কাউন্সিলর পদে ৯টি ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং সংরক্ষিত তিনটি পদে ৭ জন নারী প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।