ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। যতদিন এ দেশ বেঁচে থাকবে, পৃথিবী বেঁচে থাকবে ততদিন জাতির পিতা বেঁচে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে দেশের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে এদেশের স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের গুণে বাঙালিরা অর্জন করেছে। তাঁর সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। নতুন প্রজন্মকে তাঁর জীবন, আত্মত্যাগ, দর্শন, সংগ্রাম প্রভৃতির ইতিহাস জানাতে হবে। বিশ্বে কিভাবে বাঙালি জাতিকে বীরের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধু, তার ইতিহাস জানার জন্য আমাদের বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা বইগুলো পড়তে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তিতে দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত স্বপ্নের দেশ বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হচ্ছে দেশ। বিশ্ব আজ বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলছে। উপমহাদেশে এ দেশ আজ লিড দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা আছেন বলেই এসব অর্জন সম্ভব হচ্ছে। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে যে কোন মূল্যে সমুন্নত রাখতে হবে। গতকাল শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম একাডেমির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু কবিতা উৎসব ও নেছার আহমদ সম্পাদিত অনন্যসাধারণ স্মারকগ্রন্থ ‘জাতির পিতা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। আগামীতে মেট্রোরেল হবে। এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। এগুচ্ছে বাংলাদেশ। পরে তিনি অতিথিদের নিয়ে ‘জাতির পিতা জন্মশতবর্ষে চট্টগ্রামের শ্রদ্ধাঞ্জলি’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, কলামিস্ট ড. আনোয়ারা আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বিশ্বের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণের কথা তুলে ধরে বলেন, চার্চিল-লুথারের প্রদত্ত ভাষণ ছিল লিখিত। আর জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল হৃদয়ের। তাই এ ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণের মর্যাদায় পায়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও আদর্শবান নেতা। তাঁর ছিল দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও অনুসরণীয় আদর্শ। মহৎ আদর্শ ছিল বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল।
আলোচনায় অংশ নেন সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত, একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফ। সূচনা বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল। অনুভূতি ব্যক্ত করেন স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক নেছার আহমদ। সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমু।
এসময় মঞ্চে ছিলেন একাডেমির পরিচালক দীপক বড়ুয়া, বিপুল বড়ুয়া, জাহাঙ্গীর মিঞা, এস এম আবদুল আজিজ, মুহাম্মদ নোমান লিটন, মেহের আফরোজ হাসিনা, শারুদ নিজাম, সুপ্রতিম বড়ুয়া, রোকেয়া হক, মৃণালিনী চক্রবর্তী, এম কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানামাত্রিক ছড়া-কবিতা পাঠের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উৎপল কান্তি বড়ুয়া, সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার, আজিজ রাহমান, সাঈদুল আরেফীন, ড. সৌরভ সাখাওয়াত, ইফতেখার মারুফ, বিকিরণ বড়ুয়া, ফারজানা রহমান শিমু, জসিম উদ্দিন খান, লিটন কুমার চৌধুরী, আখতারুল ইসলাম, কাঞ্চনা চক্রবর্তী, বিচিত্রা সেন, ডা. দুলাল কান্তি চৌধুরী, মনজুর আহমদ, প্রদীপ নন্দী, শিরিন আফরোজ, সোমা মুৎসুদ্দী, তসলিম খাঁ, রুনা তাসমিনা, সুবর্ণা চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল ফয়সল, সঞ্জয় পাল, ইসমত আরা নীলিমা, প্রিয়ংকা সরকার, পল্লব গুপ্ত, শাহীদ মাহমুদ, রাসু বড়ুয়া, জোনাকী দত্ত, হামিমা জামিল রুমা, কাজি ইব্রাহিম সেলিম, মৃত্তিকা চক্রবর্তী, সাইফ সিরাজ, আবিদা সুলতানা, শিপ্রা দাশ, আদৃতা রক্ষিত, গৌরী প্রভা দাশ, রূপক কুমার রক্ষিত, সাইফুদ্দিন সাকিব, প্রদ্যোত কুমার বড়ুয়া, ইভান পাল, রিফাত ফাতিমা তানশি, নান্টু বড়ুয়া, সুরভী কান্তা, শিউলী নাথ, সৌভিক চৌধুরী, স্বপ্ন কুমার আশ্চর্য বলাই, মো. শামীম হোসেন, আদনান কারীম, মুহাম্মদ ফরিদ মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে উঠোন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।