আমার জন্ম ১৯৬৪ সালে, চট্টগ্রাম শহরে। তখন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর নাম ছিল পৌরসভা। নির্বাচিত হতেন চেয়ারম্যান। শহরের ব্যাপ্তি ছিল অনেক ছোট। শহর বলতে আন্দরকিল্লাহ, আলকরণ, পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গিবাজার, চন্দনপুরা, কলেজ রোড, আগ্রাবাদ (আজকের পুরো আগ্রাবাদ এর অংশ নয়) সেই বালকবেলা থেকেই (দেশে যখন জনসংখ্যার আধিক্য ছিলনা) দেখে আসছি সিটি কর্পোরেশনের কাজ হচ্ছে ময়লা পরিস্কার, মশক নিধন, কিছু রাস্তা সংস্কার, হোল্ডিং ট্যাঙ আদায়, সিটি কর্পোরেশনের আওতায় সামান্য স্বাস্থ্য সেবা ট্রেড লাইসেন্স দেয়া। প্রয়াত নন্দিত মেয়র শিক্ষাখাতে উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। দেখা যায় পানির সমস্যা হলে ওয়াসা, বিদ্যুৎ সমস্যা হলে পিডিবি। কিছু কাজ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। সেই পৌরসভা কর্পোরেশন হলো, শহরের পরিধি অনেক বিস্তৃত হলো, চেয়ারম্যান মেয়র হলেন, মেম্বার কাউন্সিলর হলেন লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করে (সরকারি ব্যয় ও নির্বাচনে ব্যক্তিগত ব্যয়সহ) নির্বাচন হচ্ছে, সিটি মেয়রকে নগরপিতা বলা হচ্ছে কিন্ত নগর বা নাগরিকের সব সমস্যার সমাধান তিনি করতে পারেন না। দ্বারস্থ হতে হয় ওয়াসা, পিডিবি, সিডিএ এর কাছে। তাহলে কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করে কোটি টাকার নির্বাচন কেন? একটি টক শোতে সাবেক দুই মেয়র এই বিষয় নিয়ে একমত প্রকাশ করেছেন।
প্রস্তাব হচ্ছে দীর্ঘদিনের পুরোনো দাবী ওয়াসা, পিডিবি, সিডিএ, তিতাস গ্যাস ও অন্যান্য সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে সিটি মেয়রের সাথে সম্পৃক্ত করে মেয়রকে প্রধান করে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন, যাকে আমরা অনেকে বলছি “সিটি গভর্নমেন্ট “। ফলে শহরের সংকটে, সম্ভাবনায় মেয়র কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করা নাগরিকরা পাবেন কার্যকর ফল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি অনেক কিছুর সংস্কার করছেন, একদিনে দেশে কোটি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন, এই কাজটি আপনিই করতে পারেন। একটি সিটি কর্পোরেশন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করার নিমিত্তে কাজ করার সবিনয় অনুরোধ থাকলো। নির্বাচিত নতুন মেয়রের প্রতিও এই পদ্ধতিটি নিয়ে কাজ করার অনুরোধ রাখলাম।