আমাদের দেশের বাবা মা সন্তানকে নামী ও দামী স্কুলে পড়াতে যতোটা প্রতিযোগিতায় নামেন তার চেয়ে যদি বেশী গুরুত্ব দিতেন সন্তানের চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে তাহলে এই বাংলাদেশ কিছু বিবেকবান নাগরিক পেতো। যে দেশের মায়েরা সন্তানকে নামী স্কুলে ভর্তি করে নিজেরা মগ্ন থাকেন ভারতীয় চ্যানেলে, যে দেশের বাবারা উপার্জন করার সময় ভাবেন না বৈধ কি অবৈধ সে দেশে বিকৃত রুচির সন্তান জন্মাতে বাধ্য। যে দেশের বাবা মা ধর্মগ্রন্থ তুলে দেন না সন্তানের হাতে, নজরুল রবীন্দ্রনাথকে ব্যাকডেইটেড বানিয়ে সন্তানকে নাচাতে শিখান শিলা কী জওয়ানি, লুঙ্গি ড্যান্স, মেয়েদের বানান আফগান জিলাবী সে দেশে প্রেম হবে শুধু যৌনতা, হৃদয় ছুঁবে না। যে সমাজে কন্যা সন্তান আর পুত্র সন্তানের লালন পালনে পার্থক্য করা হয়, বলা হয় ছেলেদের সাত খুন মাফ, সোনার আংটি বাঁকা ভালো কিংবা ছেলেদের চরিত্রে দাগ পড়ে না, পুরুষ রাগলে রাজা আর নারী রাগলে বেশ্যা ইত্যাদি ইত্যাদি সে সমাজে কিছু ঘৃণ্য ধর্ষক প্রেমিক সাজবে সেটাতো স্বাভাবিক। আনুশকা ও দিহানের ঘটনাটাকে কিছু অনলাইন চ্যানেল এতোটা রসিয়ে রসিয়ে কুরুচিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করছে তাতে আমি ভীত। আমাদের কিশোর কিশোরীরা কিংবা যুবক যুবতীরা সেই কুরুচিপূর্ণ সংবাদ শুনে রপ্ত করবে আরও কিছু নষ্টামি। তাই এই মিডিয়াগুলোর ওপর সরকারের নজরদারি ও কিছু নীতিমালা প্রণয়ন দরকার।