শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ১৩ জানুয়ারি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী মহোদয়কে স্থবির শিক্ষাঙ্গনগুলোকে পুনরায় সরব করতে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের কবল থেকে বাঁচাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহবান জানালাম। করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ থেকে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের বেতন-ভাতা নির্ভর বলে গত ১০ মাস ধরে ভর্তুকির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে কষ্টে পড়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষার মত মহৎ পেশার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা। অন্যদিকে ক্রমাগত ভর্তুকি দিতে গিয়ে বেকায়দায় আছে প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলরা। ফলশ্রুতিতে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের সবকিছুই পুরোদ্যমে চলছে। হাট-বাজার, বিনোদন কেন্দ্র, সভা-সমাবেশে যদি কোন বিধি নিষেধ না থাকে তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? দীর্ঘদিন পাঠ্যক্রমের বাইরে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা অবসাদে ভুগছে এবং সে অবসাদ থেকে নানাধরনের অনৈতিক কাজকর্মে জড়িয়ে যাওয়ান মত ঘটনাও ঘটছে। স্বাস্থ্যবিধি পালন ও শারীরিক দূরত্ব বজায়ের স্বার্থে প্রয়োজনে সপ্তাহে ৬ দিনের পরিবর্তে তিন দিন করে এবং বিভিন্ন শিফটে ভাগ করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার কথাও ভাবা যায়।
মুহাম্মদ নঈমুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক,
চট্টগ্রাম হাটহাজারী ফতেপুর দারুল মদিনা মডেল একাডেমী