নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার মো. নুর আলম প্রকাশ নুরুকে (৪০) পরিবেশের মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পাহাড় কাটার অভিযোগে গত ৩১ ডিসেম্বর দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. শাখাওয়াত।
সূত্রে জানা গেছে, সন্ত্রাসী নুরু নগরীর আকবর শাহ এলাকার নাছিয়া ঘোনা, বেলতলি ঘোনা ও ঝিলপাড় এলাকার সরকারি পাহাড় দখলে নিয়ে তৈরি করেছে নিজস্ব বাহিনী। নির্বিচারে পাহাড় কেটে প্লট বানিয়ে বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পাহাড় কেটে বানানো হয়েছে আস্তানা। তৈরি করা হয়েছে গরু ছাগলের খামারও। সরকারি পাহাড় দখল করে বিক্রি এবং মাদক বাণিজ্যের মাধ্যমে ৭ বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনেছেন নুরু।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের দিকেও নুরু ছিলেন একজন সাধারণ দিনমজুর। আকবর শাহ ১ নম্বর ঝিলের সরকারি পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে ২০১২ সালের দিকে নুরু পাহাড় দখল করে তা বিক্রি শুরু করে। নাছিয়া ঘোনায় পাহাড় কেটে নিজের নামে কলোনি তৈরি করে। ২০১৪ সালের ৬ জুলাই শেষবার নুরুর আস্তানায় পুলিশ হানা দিলে তার অনুসারীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে পুলিশ নুরুকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে জামিনে এসে পুনরায় জড়িয়ে পড়ে অপরাধে। সর্বশেষ গত ২৬ ডিসেম্বর তাকে ধরতে অভিযানে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গা ঢাকা দেয় নুরু। গত ৮ জানুয়ারি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন শান্তির হাটের চর এলাকা থেকে নুরুকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. শাখাওয়াত দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘সন্ত্রাসী নুরুকে পাহাড় কাটার অভিযোগে দায়ের হওয়া পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের একটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।’