১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তারপরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। এর দিনকয়েক পরে তাঁকে পাঞ্জাবের মিয়ানওয়ালী জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রধান জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি রেসকোর্স ময়দানে ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে মিত্রবাহিনীর প্রধান জগজিৎ সিং আরোরা’র কাছে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন হয় বীর বাঙালির। মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর দেশবাসীর একমাত্র প্রতীক্ষা ছিল স্বাধীনতার মন্ত্রসাধক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাবর্তন। জাতির সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিজয়ের ২৫ দিন পর মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন টু দিল্লি- দিল্লি টু ঢাকা হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন। এই দিন বাঙালি জাতি সত্যিকারভাবে অনুভব করে মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ, অনুভব করে বাঙালি জাতি হিসেবে মর্যাদা, অনুভব করে দেশের স্বাধীনতা। তাই ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি-ই বিজয়ের পূরণতা আনে।











