চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রচারণায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল পৃথক দুইটি স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পূর্ব বাকলিয়ায় মাইকিংয়ে ব্যবহৃত সিএনজি ভাঙচুর, বাগমনিরামে পোস্টার লাগানোর সময় এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডা. শাহাদাত হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফুল হক।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১১ টায় বাগমনিরাম পল্টন মোড়ে পোস্টার লাগানোর সময় একজনকে মারধর করা হয়। পোস্টারসহ অন্যান্য সামগ্রী কেড়ে নেয়া হয়। বিষয়টি সাথে সাথে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এছাড়াও বিকেল ৪ টায় ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়ার ওয়াজাইর পাড়ায় সিএনজি করে ডা. শাহাদাত হোসেনের নিবাচর্নী প্রচার মাইকে হামলা করে সিএনজি টেঙি ভাঙচুর করা হয়। এতে ছাত্রদল কর্মী আহমেদ, যুবদল কর্মী মোহাম্মদ ফারুক ও সিএনজি চালক জাকের হোসেন গুরুতর আহত হয়।
ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্বাচনী মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইদ্রিস আলী বলেন, দুপুর ২ টায় খাতুনগঞ্জ এলাকায় ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে ডা. শাহাদতে হোসেনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নির্বাচন কার্যক্রম বিষয় নিয়ে মত বিনিময়কালে সাদা পোশাকে পুলিশ ঘেরাও করে ফেলে। এতে এলাকার লোকজন ও ভোটাদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়।
লাঞ্ছিত মহিলা দল নেত্রী :
মহিলা দলের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বেলা ২ টায় হালিশহর হাউজিং স্টেট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদিকা আঁখি সুলতানাসহ তার কর্মীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আঁখি সুলতানা দৈনিক আজাদীকে বলেন, দুপুর ১২ টায় হালিশহর হাউজিং স্টেট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলা দলের উদ্যোগে করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। এরপর একই মাঠে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নির্র্বাচনী আচররণবিধি লঙ্গন এড়াতে শাহাদাত ভাই কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে ছিলেন না। এসময় কয়েকটা ছেলে এসে দ্রুত চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। তারা আমাকেসহ কয়েকজন কর্মীকে লাঞ্ছিত করে। এলাকার কিশোর গ্যাং এর ছেলেরা এ কাজ করেছে। চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে নগরীর তিনটি স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।