সাতকানিয়ায় গুঁড়িয়ে দেয়া হলো অবৈধ দুই ইটভাটা

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ৬ জানুয়ারি, ২০২১ at ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাতকানিয়ায় অবৈধ ২টি ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এসব ইটভাটার চিমনি ও কাঁচা ইট স্কেভেটরের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অপর একটি ইটভাটার চিমনি ফুটো করে দিয়ে ঐ ভাটার মালিককে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার (৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হলো আঁধার মার দরগাহ এলাকায় আবু তাহেরের মালিকানাধীন এসবিএম ও মাদার বাড়ি এলাকায় শামসুল ইসলামের মালিকানাধীন সেভেনবিএম। এছাড়া মাদার বাড়ি এলাকায় সাবেক চেয়ারম্যান নুর হোসেন ফোরুক কোম্পানীর মালিকানাধীন এনএইচবি’র চিমনি ফুটো করে দেয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রমতে, গণমাধ্যমে প্রকাশতি প্রতিবেদন যুক্ত করে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে গত ২৯ নভেম্বর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে উচ্চ আদালতে এক রিট দায়ের করা হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের বেঞ্চ রুলসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের আদেশে একই সঙ্গে বৈধ ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার, পাহাড়ি ও কৃষি জমির মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়।
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক মোঃ আফজারুল ইসলাম ও পরিদর্শক নুর হাসান সজীব। এসময় পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদেরকে সহায়তা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক মোঃ আফজারুল ইসলাম জানান, সাতকানিয়ার বেশির ভাগ ইটভাটা অবৈধ। এসব ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স নাই। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ও আবাদি জমিতে এসব ভাটা গড়ে উঠেছে। ভাটাগুলেতে আবাদি জমির মাটি ব্যবহার ও জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগও রয়েছে। এসবিএম ও সেভেনবিএম নামের অবৈধ দুইটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এনএইচবি নামের অপর একটি ভাটার চিমনি ফুটো করে দেয়া হয়েছে। ওই ভাটার মালিককে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অপর একটি ইটভাটার চিমনি ফুটো করে দেয়ার পাশাপাশি ওই ভাটর মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ বান্ধব ভাটা করার জন্য তাকে দুই মাসের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে সেগুন কাঠ জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপ পৌর নির্বাচনে আ.লীগ মেয়রপ্রার্থী মোক্তাদের মাওলার কর্মীসভা