চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “সার্কিট হাউজে বসে সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে যেভাবে মন্ত্রী-এমপি হয়েছে ঠিক সেই ভোট ডাকাতির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কীভাবে জয়লাভ করা যায় তার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আওয়ামী মন্ত্রী-এমপিরা।
কাজেই দেশপ্রেমিক চট্টগ্রামবাসীকে আগামী ২৭ তারিখের নির্বাচনে সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কোনো বহিরাগত যাতে ভোট কেন্দ্রে আমার মা-ভাই-বোনদের ভোট দিতে বাধা দিতে না পারে সেজন্য স্ব-স্ব সেন্টারে সবাইকে ব্যাঙ্গালোর ভ্যানগার্ড়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।”
তিনি আজ শনিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, “সরকারের চরিত্র প্রকাশের জন্য এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে। সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনে অতিষ্ঠ দেশের জনগণ। আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাই তারা জনগণের মতামতের ওপর ভরসা না করে প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে কেন্দ্র দখল করে নির্বাচনে জয়লাভ করাকে অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গন করে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা বৈঠক করছে। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার মধ্য দিয়ে সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।”
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হওয়া প্রতিটি নির্বাচনে চলছে ব্যাপক কারচুপি এবং জবরদখল উৎসব। সামনে চসিক নির্বাচন, সেখানে যদি কারচুপি করা হয় তাহলে চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা হবে। ইতিমধ্যে চসিক নির্বাচন নিয়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বসে ষড়যন্ত্রের জাল তৈরিতে লিপ্ত হয়েছে। ভোট ডাকাতি করতে বিভিন্ন জেলা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আবার পরিকল্পনা চলছে। আমরা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাবো, চসিক নির্বাচনে শান্ত চট্টগ্রামের পরিবেশকে অশান্ত করবেন না।”
২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর প্রার্থী এসএম জামাল উদ্দীন জসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মন্জুর আলম মন্জু।
আরো উপস্থিত ছিলেন ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ সেকান্দর, সাধারণ সম্পাদক হাজী বাদশা মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুন নাহার লিজা, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন সোহেল, আবু জাফর লক্ষি, সেলিম খান, ২৮ ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সবুর আকবর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, ছাত্রদল নেতা সৈয়দ রাজিবুল রানা, ইমরান হেসেন বাপ্পি, শেখ ইয়াসিন নওশাদ, সজল বড়ুয়া, যুবদল নেতা আবু সৈয়দ রিকুু, মোহাম্মদ রাসেল হাসান, মোহাম্মদ এমরাজ, সাদ্দাম, তাজুল আলম রিংটু, মোহাম্মদ নুরু প্রমুখ।