টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে পুলিশের দায়ের করা মাদকের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দিয়েছেন মামলার বাদী ও রামু থানার সাবেক এসআই শফিকুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তিনি এ নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। তবে এবিষয়ে শুনানি হলেও আদালত কোনো আদেশ দেয়নি।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টেকনাফে সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর তার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে রামুর হিমছড়ির একটি রিসোর্ট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে রামু থানায় মাদকের মামলা রুজু করা হয়। তবে তদন্তে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার।
গত ২১ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
এরপর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন মামলার বাদী ও রামু থানার সাবেক এসআই শফিকুল ইসলাম। তবে এবিষয়ে শুনানি হলেও আদালত এখনও আদেশ দেয়নি।
এসময় আদালতে শিপ্রা দেবনাথও উপস্থিত ছিলেন। তিনি উক্ত মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত শিপ্রার আবেদন মঞ্জুর করে।
প্রসঙ্গত, ‘জাস্ট গো’ নামের একটি ইউটিউিব চ্যানেলের জন্য একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ ও সিফাতকে নিয়ে জুলাই মাসের প্রথমদিকে কক্সবাজারে আসেন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তারা উঠেন হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে। সেখান থেকে সিফাতকে নিয়ে গত ৩১ জুলাই বিকালে টেকনাফে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গিয়ে রাতে ফেরার পথে শামলাপুর চেকপোস্টে খুন হন মেজর (অব.) সিনহা।
এ ঘটনায় সিফাতকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে টেকনাফ থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দেয়া হয়।
একই সময়ে রামু থানা পুলিশ হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে শিপ্রা দেবনাথকে গ্রেফতার করে।
এরপর তাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
প্রায় ৩ সপ্তাহ কারাভোগ শেষে আগস্টের শেষার্ধে জামিনে মুক্তি পান শিপ্রা।