সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতে দুজনার একান্তে কাটানো মুহূর্তের ভিডিও ইন্টারনেটে আপলোড করেছিলেন মো. ফাহিম (২৩)। মেয়েটির পরিবারের কাছেও পাঠানো হয় এসব ভিডিও। নিরুপায় মেয়েটির পরিবার শেষ পর্যন্ত দ্বারস্থ হয় সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের। গত মঙ্গলবার রাতে বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মো. ফাহিমকে। গতকাল আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। ফাহিম আনোয়ারা উপজেলার বিলপুর সৈয়দ কুচিয়া গ্রামের কাজী মো. আলমগীরের ছেলে।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন জানান, মঙ্গলবার কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (১) ধারায় এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ এর ৮(১)(২)(৩) ধারায় মামলা করেন। এরপর ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, ভিকটিম কিশোরীর বোনের বাড়ি আর ফাহিমের বাড়ি একই এলাকায়। ২০১৫ সালে পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ফাহিম তাকে পারকি সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসময় কৌশলে সে ভিডিও ধারণ করেন ফাহিম। সমপ্রতি তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হলে সেই ভিডিও কয়েকটি পর্নসাইটে আপলোড করা হয়।