গ্রাম থেকে আসা ব্যবসায়ীরাই তাদের টার্গেট

ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে বাজার করতে চাক্তাই আসা ব্যবসায়ীরাই তাদের টার্গেট। নতুন ব্রিজ এলাকায় ওঁত পেতে থাকে। টার্গেট করা ব্যক্তি টেক্সিতে উঠতেই তারা জোরপূর্বক টেক্সিতে উঠে চোখে ঝাঁঝালো বাম মেখে দেয়। যাতে চিৎকার করতে না পারে সেজন্য মুখে লাগিয়ে দেয় স্কচ টেপ। পরে রশি দিয়ে বেঁধে জিম্মি করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ চক্রের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো আলী হোসেনের পুত্র আরমান (২৩), আবদুল লতিফের পুত্র আনছার আলী ফয়সাল (২২), মরহুম ওমর আলীর পুত্র শাকিল (২১) ও রহমানের পুত্র জীবন (২০)। তাদের কাছ থেকে একটি এলজি, তিনটি স্টিলের টিপ ছোরা, একটি প্লাস্টিকের রশি, দুটি ঝান্ডু বামের কৌটা ও স্কচ টেপ উদ্ধার করা হয়।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজামউদ্দিন আজাদীকে জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নগদ টাকা নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও আছদগঞ্জে বাজার করতে আসেন। ছিনতাইকারীরা শাহ আমানত সেতু এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। অনেকে সেতুর উত্তর পাশে গাড়ি থেকে নেমে খাতুনগঞ্জ যাওয়ার জন্য সিএনজি টেঙিতে উঠেন। অনেকে রিকশায় বা হেঁটেও যান। কাউকে একা পেলে সুযোগ বুঝে আটকে প্রথমেই চোখে ঝাঁঝালো মলম লাগিয়ে তাকে দুর্বল করে ফেলে। এরপর মুখে লাগিয়ে দেওয়া হয় স্কচটেপ। সব শেষে গলায় রশি পেঁচিয়ে টাকা-মোবাইল ছিনতাই করে নেয়। হয়রানির ভয়ে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ীরা মামলা করেন না। এজন্য দিন দিন দাপট বাড়ছিল তাদের।
তিনি আরও জানান, চারজন গ্রেপ্তার হলেও এই ছিনতাইকারী দলে আরও কমপক্ষে ৮ জনের তথ্য তারা পেয়েছেন। তাদের দলে কয়েকজন সিএনজি টেঙি চালকও আছে। ব্যবসায়ীকে টার্গেট করার পর টেঙি চালকরা সাংকেতিক ভাষায় তথ্য জানায় ছিনতাইকারীদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে গুলিবিদ্ধ দুই র‌্যাব সদস্যকে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধছবি গলায় ঝুলিয়ে বাবাকে এখনও খুঁজছে ছেলে