প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে ভার্চ্যুয়ালি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর)। বৈঠকে চারটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠেয় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই দেশের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলানিউজ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকের আগেই দুদেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব চুক্তি ঘোষণা করা হবে। যে চারটি চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, দুই দেশে মধ্যে হাতি সংরক্ষণ সহযোগিতা, বরিশালে একটি পয়ঃনিষ্কাশণ প্ল্যান্ট তৈরি ও কমিউনিটি উন্নয়ন প্রকল্প।
সূত্র জানায়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে সীমান্ত যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, একইসঙ্গে ভারতের ক্রেডিট লাইনের আওতায় দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।
বৈঠক সামনে রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আমাদের বড় বড় ইস্যুগুলো তুলে ধরা হবে। সাধারণত যেসব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়, সেসবই প্রাধান্য পাবে। পানি সমস্যা, সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, “দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে বলে আমরা আশা করছি। সে সময় চিলাহাটি-হলদিয়া রুটে ট্রেনলাইন উদ্বোধন করা হবে। এই রুটটি ৫৫ বছর আগে চালু ছিল। সেটা এখন নতুন করে আবার চালু করা হবে।”
বৈঠকের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ১৭ ডিসেম্বর ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই শীর্ষ নেতা কোভিড পরবর্তী সহযোগিতা আরও জোরদার করাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। ভারত ও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্তরে নিয়মিত আলোচনা ও মতবিনিময় অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতে সফরে এসেছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের মার্চ মাসে মুজিব বর্ষের ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন। করোনা মহামারির মধ্যেও উভয় নেতা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঢাকায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে তিনি ঢাকায় আসবেন।