অবশেষে অপেক্ষার অবসান হলো। দূর হয়েছে স্বামী হত্যার বিচার নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার। এই দিনটির জন্য দীর্ঘ ২১টি বছর অপেক্ষা করেছি। ঘোষিত রায় নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আল্লাহর কাছে আমি শুকরিয়া আদায় করছি। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত যারা আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দীর্ঘ ২১ বছর পর সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যার মামলার রায় ঘোষণার পর তার স্ত্রী ও মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আকতার তার প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরো জানান, শুধুমাত্র এলাকায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার স্বামীকে খুন হতে হয়েছে। গুলি করে তারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। স্বামী হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে প্রতিনিয়ত হুমকির মধ্যে ছিলাম। মামলা প্রত্যাহার না করলে আমাকে এবং আমার সন্তানদেরকে হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে বহুবার। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়েছে। স্বামীর হত্যাকারীদের ভয়ে অনেক সময় ঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে থেকেছি। তবুও বিচারের আশা ছাড়িনি। বিশ্বাস ছিল, একদিন ন্যায় বিচার পাবো। আল্লাহ আমাদের উপর সহায় ছিলেন। রায়ে আমি খুশি।
মামলার বাদি সৈয়দা রওশন আকতার আরো জানান, সেদিন সন্ত্রাসীদের বুলেট আমাকে স্বামীহারা ও আমার সন্তানদেরকে পিতৃহারা করেছিল। স্বামীকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা আমার পুরো পরিবারটিকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। স্বামী হত্যার পর ছোট ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করেছি। ছেলে মেয়েদের ঠিক ভাবে পড়ালেখা তো দূরের কথা, তাদের মুখে দু’বেলা খাবারও তুলে দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। আমার স্বামীর ভাইয়েরাসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সব সময় সহযোগিতা পেয়েছি। না হলে আরো অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো। তিনি যত দ্রুত সম্ভব রায় কার্যকর হোক সেই প্রত্যাশা করেন।