বর্তমান যুগে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও ডক্টরেট ডিগ্রি সহ উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ডিগ্রি নেওয়ার জন্য বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে অনেক শিক্ষার্থী। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কোরিয়ার জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানী সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গত ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দূতাবাস ও জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ও দক্ষিণ কোরিয়ার জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ক্যাম্পাস ডিন ড. রবার্ট ম্যাটজ। এ সময় উভয় পক্ষের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারক দেশের শিক্ষার্থীদের জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোরিয়া ক্যাম্পাসে উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা সহ বৃত্তিলাভের জন্য নব দিগন্তের সূচনা করবে।
এই সমঝোতা স্মারকের ফলে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ছয় বছরের জন্য বৃত্তি লাভ করবেন। এক্ষেত্রে নির্ধারিত টিউশন ফির ৫০% পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়া যাবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ক্যাম্পাসে তাদের শিক্ষাবর্ষের কিছু সময় অতিবাহিত করারও সুযোগ পাবে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষাদান কর্মসূচি ইংরেজিতে পরিচালিত হবে এবং কোর্স শেষে শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।
শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের সুপারিশ, শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত তথ্য বিনিময়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোরিয়া ক্যাম্পাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিতকরণ সহ শিক্ষার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার তথ্য বিনিময়ের কর্মকাণ্ড উক্ত সমঝোতা স্মারকের আয়োজনের মধ্যে রয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকটি আগামী তিন বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
জানা যায়, জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় কমনওয়েলথ অভ ভার্জিনিয়ার একটি সংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যার সদর দপ্তর অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছন শহরে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি শাখা ক্যাম্পাস রয়েছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ডংগুগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ভদন্ত সংঘানন্দ ভান্তে বলেন, “বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে গেলেও এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে স্বদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ পাওয়া ও উচ্চশিক্ষা বিস্তারে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক যুগান্তকারী দ্বার উন্মুক্ত হলো।”