চন্দনাইশে গাছের গুঁড়ি চাপা পড়ে আহত হওয়ার ১০ দিন পর মো. সজীব উদ্দীন (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে সে মারা যায়। সে উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার পূর্ব রায়জোয়ারা গ্রামের প্রবাসী সামশুদ্দিনের পুত্র এবং দোহাজারী রায়জোয়ারা মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।
নিহত সজীবের চাচা মো. রফিক উদ্দীন জানান, তার প্রবাসী ভাই সামশুদ্দিনের যমজ ২ সন্তান মো. সজীব উদ্দীন ও মো. শরীফ উদ্দীন পরিবারের সাথে চট্টগ্রাম শহরে থাকতো। সেখান থেকে তারা গ্রামের বাড়ি পূর্ব রায়জোয়ারা গ্রামে আসে। পরে একই এলাকার হাতিয়াখোলা ময়নার বাপের পাহাড় এলাকায় তাদের দাদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে তাদের চট্টগ্রাম শহরে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুষ্টুমির ছলে দাদার বাড়িতে শরীফ উদ্দীন একটি গাছের গুঁড়ি কাটতে যায় এবং অর্ধকাটা অবস্থায় রেখে চলে যায়। পরক্ষণে সজীব উদ্দীনও গাছের গুঁড়িটি কাটতে গেলে দুর্ঘটনা বশত গাছের গুঁড়িটি তার বুকের উপর এসে পড়ে এবং সে চাপা পড়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দোহাজারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সে মারা যায়। গতকাল শনিবার দুপুরে দোহাজারী রায়জোয়ারাস্থ জঙ্গলী পীর শাহ’র মাজার প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।