‘স্বচ্ছ ও আধুনিক কর সেবা প্রদানের মাধ্যমে করদাতাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়কর দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগ। গতকাল নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার কর অঞ্চল-৪ এর সামনে বেলুন উড়িয়ে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চার কর অঞ্চলের কমিশনাররা। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে আয়োজনও ছিল সংক্ষিপ্ত।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৩ এর কমিশনার সৈয়দ মো. আবু দাউদ। এ সময় তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্য বছরের ন্যায় এবার মেলা হচ্ছে না। সারা দেশ একটা চাপা বেদনায় ভাসছে। আমরা মনে করেছিলাম এই শোকার্ত সময়ে যেরকম আমরা সব সময় পাই, সেরকম হয়তো পাবো না। কিন্তু তারপরেও আমরা দেখেছি আমাদের আশার বাইরে সাড়া পেয়ে যাচ্ছি। এজন্য আমরা করদাতাদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন কর মেলা ও আমাদের দেয়া সেবার ফসলের কারণেই কিন্তু তারা আসছেন। আমাদের সেবায় তারা আস্থা খুঁজে পাচ্ছেন।
লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে লক্ষ্যমাত্রা আমরা নির্দিষ্ট করিনি। তবে আমাদের নিজস্ব একটা টার্গেট আছে এবং আশা করি সেটাতে আমরা পৌঁছাতে পারবো। এখন পর্যন্ত যদি রিটার্ন জমার গড় হিসেব করি, তাহলে দেখি শুধুমাত্র আমার কর অঞ্চল-৩ এর রিটার্ন ২৫ হাজার অতিক্রম করেছে। সেই হিসেবে আমার ধারণা সেই সংখ্যা এক লাখের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। টাকার অংকে তা কয়েকশত কোটি টাকা হবে বলে ধারণা। গত বছর সর্বমোট রিটার্ন দাখিল হয় ১ লাখ ৩০ হাজার।
কর অঞ্চল-২ এর কমিশনার জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, আমি গত বছরের মেলা আয়োজন কমিটির কনভেনার ছিলাম। মেলা আয়োজনের মূল বিষয় ছিল করদাতাদের সার্ভিস দেয়া। রিটার্নের সংখ্যা বাড়ানো কিন্তু না। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে করদাতাদের অন্যান্য সেবা দেয়া সম্ভব হলেও ব্যাংকের বুথ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে আমার কর অঞ্চল-২ এ রিটার্নের সংখ্যা গত বছরের ৩০ নভেম্বর যেটা ছিল সেটা গত দুই দিন আগেই অতিক্রম হয়ে গেছে। প্রতি বছর আমাদের রিটার্ন দাখিলের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এই প্রবৃদ্ধিটা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের কম না। গত বছর কর অঞ্চল-২ এ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল হয়েছিল ৩০ হাজার ২০০ এর মতো। এবছর অলরেডি ৩২ হাজার হয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও কর আপিল কমিশনার মো. হেলাল উদ্দিন সিকদার, অতিরিক্ত কর কমিশনার সফিনা জাহান, মো. মাহমুদুর রহমান, শামিনা ইসলাম, হেমল দেওয়ান, মনোয়ার আহমেদ, যুগ্ম কর কমিশনার ভুবন মোহন ত্রিপুরা, মো. সাইফুল আলম, মো. মাসুদ রানা, ফরিদ আহমেদ, ড. মো. কাওসার আলী, প্রতাপ চন্দ্র পাল, মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।