করোনাভাইরাসের টিকা এলে পর্যায়ক্রমে সবাই তা পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স উদ্বোধন করে তিনি বলেন, টিকা যাতে সবাইকে দেওয়া যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবং সেই ব্যবস্থা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। যার যেখানে যখন প্রয়োজন হবে। ভ্যাকসিন যখন অ্যাভেইলেবল হবে, তখন আমরা এটা দিতে থাকব। বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সেই ব্যবস্থা রেখেছে। খবর বিডিনিউজের।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে, তার তিন কোটি ডোজ কিনতে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়া গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, যা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশের হাতে আসতে পারে বলে সরকার আশা করছে। করোনাভাইরাসের কার্যকর টিকা পাওয়া গেলে তা যাতে সারা বিশ্বের মানুষ পায়, তা নিশ্চিত করতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে ভ্যাকসিন এলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও পাবে। প্রথমে ৩ শতাংশ দেবে, পরে তাদের কাছেও (ডব্লিউএইচও) ভ্যাকসিন আসবে তখন বাকি ১৭ শতাংশ বিভিন্ন দেশকে দিতে থাকবে। আমরাও সেখান থেকে পেতে থাকব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি কাদের তৈরি করা ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেবে, তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবা আগের চেয়ে ‘উন্নত হয়েছে’ বলেই কোভিড সংক্রমণ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদসহ চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।