শেষ ওভারের নাটকে ফেভারিট ঢাকাকে হারিয়ে চমক দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু করল রাজশাহী। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ৯ রান। আগের ওভারে তিন ছক্কা হাঁকানো মুক্তার ছিলেন স্ট্রাইকে। ব্যাটে-বলে আলো ছড়ানো মেহেদি দুর্দান্ত শেষ ওভারে দিলেন কেবল ৬ রান। আর তাতেই ২ রানের জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে রাজশাহী। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। জবাবে ৫ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে ঢাকা। শেষ ওভার করতে আসা মেহেদী প্রথম তিনটি বল করেন ডট। পরের বলে চার মারেন মুক্তার। পঞ্চম বলটি ছিল নো। ফ্রি হিট পাওয়া বলেও ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। শেষ বলে নিতে পারেন মোটে এক রান।
এর আগে ব্যাট হাতেও দারুন ঝড় তুলেছেন মেহেদী। বিপর্যয়ে নেমে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫০ রান করেন মেহেদি। অপরদিকে ৩ ছক্কায় ২০ বলে ৩৯ রান করেন সোহান। আর তাতেই বিপর্যয় কাটিয়ে ১৬৯ রান করে রাজশাহী। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী শুরুটা ভাল করলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় এক সময় বড় সংগ্রহ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। দুই ওপেনার ইমন এবং শান্ত করেন যথাক্রমে ৩৫ এবং ১৭ রান। শেষ দিকে ফরহাদ রেজা করেন ৬ বলে ১১ রান। ঢাকার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মুক্তার চার ওভারে ২২ রানে নেন ৩ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নামা ঢাকাও ভাল শুরু করতে পারেনি। ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মুশফিক এবং আকবর আলি টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন দলকে। এ দুজন ৬৯ রান যোগ করলেও শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারেনি। মুশফিক আউট হওয়ার পর এক রকম ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ঢাকা। তারপরও ১৯ তম ওভারে ম্যাচে ফিরিয়েছিল ঢাকাকে মুক্তার আলি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না মুক্তার আলি। ঢাকার পক্ষে মুশফিক করেন সর্বোচ্চ ৪১ রান। আকবর আলি করেন ৩৪ রান। এছাড়া তানজিদ ১৮, নাঈম ২৬, এবং মুক্তার ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাজশাহীর মেহেদী হাসান।