টেকনাফের বিতর্কিত সাবেক এমপি বদি এবার পেটালেন টেকনাফ প্রেস ক্লাব নির্মাণকাজে দায়িত্বরত এনজিও ফোরামের প্রকৌশলী নাঈমকে।
এসময় নির্মাণ শ্রমিকদের তাড়িয়ে দিয়ে প্রেস ক্লাবের ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ রবিবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এনজিও ফোরামের প্রকৌশলী নাঈম বলেন, “সকালে থানার সামনে প্রেস ক্লাবে আমি এবং আমার সুপারভাইজার নির্মাণ শ্রমিকদের কাজের তদারকি করছিলাম। এসময় সাবেক এমপি বদি এসে প্রেসক্লাবের সামনে গাড়ি থামিয়ে আমাকে ডাকেন। আমি গাড়ির পাশে গিয়ে সালাম দেয়ার সাথে সাথে গ্লাস নামিয়ে এখানে কাজ করার অনুমতি কে দিয়েছে বলে চড়, ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে প্রেস ক্লাবের কাজ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে চলে যান।”
দীর্ঘদিন পরে টেকনাফ প্রেস ক্লাবের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ইউএনএইচসিআর-এর অর্থায়নে পুনঃনির্মাণকাজ চলাকালীন দাতা সংস্থার দায়িত্বরত প্রকৌশলীকে মারধরের নিন্দা জানিয়েছেন টেকনাফ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব ছৈয়দ হোসেন ও টেকনাফে কর্মরত সাংবাদিকরা।
এই ঘটনার পরে প্রতিবাদ জানিয়ে টেকনাফে কর্মরত সাংবাদিকরা প্রেস ক্লাবে অবস্থান নেন।
এসময় ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও দাবি করেন এই সাংবাদিক নেতা ছৈয়দ হোসেন।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল বশর জানান, সমাজের অন্যায়-অবিচার তুলে ধরা সাংবাদিকদের তীর্থ স্থান প্রেস ক্লাব। বদি প্রেস ক্লাবের চলমান কাজ বন্ধ করার জন্য নয়, সাংবাদিকদের কলম বন্ধ করতে এই হীন কাজটি ঘটিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এই ঘটনা ফের টেকনাফকে অন্ধকার জগতে নিমজ্জিত রাখার অপপ্রয়াসের ইংগিত বহন করে বলেও দাবি করেন তিনি।
বদিকে এ ধরনের হীন কাজ থেকে সরে এসে দলের ভাবমূর্তি ধরে রাখার আহ্বান জানান নূরুল বশর।
এ বিষয়ে, সাবেক এমপি বদির সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১১ সালে কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুর রহমানকে টেকনাফ পৌর নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনের সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বদি।
২০১৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বদির অনুরোধে সাড়া না দেয়ায় বীর বাহাদুরকে লাঞ্ছিত হতে হয়।
২০১৫ সালে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের মাসিক উন্নয়ন সভা চলাকালে উখিয়া উপজেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজকে মারধর করেন তিনি।
এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক, ব্যাংকার এবং সাধারণ মানুষ এমপি বদির নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি।