একতরফা কাউন্সিলের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব কাউকে দিলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ। গতকাল শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বর্তমান মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীর বিপক্ষ হিসেবে পরিচিত অংশের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। আহমদ শফীর মৃত্যুর পর রোববার হেফাজতের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। হেফাজত মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীর অনুসারীদের তৎপরতায় অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পাননি প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফী সমর্থকদের অনেকে। লিখিত বক্তব্যে ফয়জুল্লাহ বলেন, স্পষ্ট করে বলছি, একক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হেফাজত কাউন্সিলের নামে এককভাবে কাউকে দায়িত্ব দিলে তা এদেশের ওলামায়ে কেরাম মেনে নেবে না। খবর বিডিনিউজের।
নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সর্বোচ্চ আমির কর্তৃক গঠিত কমিটির মাধ্যমে হেফাজতের কাউন্সিলে সর্বসম্মতিতে ব্যক্তিদের নেতৃত্বে আনলেই দেশবাসীসহ ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বকে গ্রহণ করবে। এছাড়া ভিন্ন পথে কোন কিছু করার ষড়যন্ত্র করা হলে তা দেশবাসী রুখে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আহমদ শফীর ছেলে ইউসুফ মাদানী ও আনাস মাদানী ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও যানজটের কারণে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানানো হয়। ঢাকার সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা জিয়াউল হক জিয়া, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক, মাওলানা আব্দুল বারী সিরাজী, মাওলানা আতাউর রহমান খান, মুফতি নাসির উদ্দিন, মাওলানা মুজিব, মাওলানা মনসুরুল হক, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইদ্রিস, মাওলানা জাকির হোসাইনসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মাওলানা শফীর মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
ফয়জুল্লাহ বলেন, আমরা মনে করি সাইফুল ইসলাম শহীদ আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে শহীদ করে বিভিন্ন কওমি এবং হেফাজত ইসলামকে একটি চিহ্নিত মহল তাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।