সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মোট ৪৯ হাজার ৮৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মিনিট্রাক ও একটি পিকআপও জব্দ করা হয়েছে। বাংলানিউজ
আটকের পর আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে র্যাব ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
আটক পাঁচজন হলো সুমন বড়ুয়া (৩২), মো. তারেক (২১), মো. আল আমিন (৩৫), মো. ছালাম (২১) ও মো. আরিফুল্লাহ (২৬)।
তাদের মধ্যে মো. ছালাম ও মো. আরিফুল্লাহ রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। তারা উখিয়া বালুখালী রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক কে-৮ এ বসবাস করেন।
তাদের মধ্যে সুমন বড়ুয়াকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকা থেকে ৩৮ হাজার ৫৭৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করে র্যাব-৭। সুমন বড়ুয়া মিনিট্রাকে করে ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর দিকে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
মো. তারেক ও মো. আল আমিনকে চন্দনাইশের দোহাজারি এলাকা থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। তারা পিকআপে করে ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মো. ছালাম ও মো. আরিফুল্লাহকে লোহাগাড়ার চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। তারা কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে আসছিল বলে জানা গেছে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, “সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৮ হাজার ৫৭৫ পিস ইয়াবাসহ সুমন বড়ুয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। সুমন বড়ুয়া মিনিট্রাকে করে ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর দিকে যাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, “চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে মোট ১১ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”