খুব শীঘ্রই আইফোন ও আইপ্যাড ব্যবহারকারীরা এপিক গেমসের ফোর্টনাইট খেলার সুযোগ পাবেন। না, ফোর্টনাইটকে অ্যাপ স্টোরে সরাসরি ঠাঁই দিচ্ছে না অ্যাপল। এনভিডিয়ার হাত ধরে অ্যাপলের ডিভাইসে ঢুকবে গেমটি। পুরো ব্যাপারটিই আসলে এনভিডিয়ার ক্লাউড গেইমিং সেবার অংশ। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, আইওএস প্ল্যাটফর্মের মোবাইল ওয়েব ব্রাউজার সাফারিতে চলবে এনভিডিয়ার সেবাটি। এ ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি অ্যাপল। আর এপিক গেমস এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। খবর বিডিনিউজের।
এনভিডিয়া জানিয়েছে, সেবার নতুন কোনো গ্রাহক নিয়ে, এবং অঘোষিত, এখনও না আসা প্ল্যাটফর্মে কোনো গেমের থাকার ব্যাপারটি নিয়ে মন্তব্য করবে না তারা। চলতি মাসের শেষেই এনভিডিয়া নিজেদের ‘জিফোর্স নাও’ সেবার আপডেট আনার ঘোষণা দেবে। নতুন আপডেটে অ্যাপলের আইওএস সমর্থন করবে সেবাটি।
অ্যাপলের নিয়ম অনুসারে, ক্লাউড গেমিং প্র্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্যাটালগের প্রতিটি গেইমকে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপ হিসেবে পর্যালোচনার জন্য দাখিল করতে হবে, এবং প্রতিটি টাইটেলের জন্য মূল ক্যাটালগ অ্যাপের একটি লিংক থাকতে হবে। এ নিয়মের মুখে পড়ে আইওএস প্ল্যাটফর্মে সেবা দিতে সমস্যা হয় ক্লাউড গেমিং সেবাদাতাদের। বিষয়টি নিয়ে অ্যাপলের সমালোচনাও করেছে মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট। উল্লেখ্য, নিজেদের প্রিমিয়াম ‘এঙবঙ গেম পাস সাবস্ক্রিপশনে’ গেম স্ট্রিমিং ফিচার রয়েছে মাইক্রোসফটের।
অ্যাপল-এপিক লড়াইয়ের সূত্রপাত অ্যাপ স্টোরের ‘ইন-অ্যাপ পারচেস’ নীতিকে ঘিরে। নিজ প্ল্যাটফর্মে সব অ্যাপের ‘ইন-অ্যাপ’ পারচেসের ৩০ শতাংশ নিয়ে নেয় অ্যাপল। এই নিয়ম মানতে রাজি নয় ফোর্টনাইট নির্মাতা এপিক গেমস। সরাসরি এপিক স্টোর থেকে ফোর্টনাইট গেইমারদেরকে নানাবিধ গেইমিং টুল কেনার সুযোগ করে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাপারটি পছন্দ হয়নি অ্যাপলের, এপিকের চ্যালেঞ্জের জবাবে অ্যাপ স্টোর থেকে প্রথমে ফোর্টনাইট এবং পরে এপিক গেমসের অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এপিক নিজেদের সরাসরি ‘পেমেন্ট ফিচার’ সরিয়ে নিলে ফোর্টনাইটকে নিজ প্ল্যাটফর্মে ঠাঁই দেবে বলে জানিয়ে রেখেছে অ্যাপল। কিন্তু এপিক তা করতে রাজি নয়। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্যে, এতে সাড়া দেওয়ার অর্থ দাঁড়ায় ‘অ্যাপলকে আইওএসে ইন-অ্যাপ খরচে একাধিপত্য বজায় রাখতে সাহায্য করা।’