মনে পড়ে হেমন্তের দিনগুলি

সাজিব চৌধুরী | রবিবার , ১ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

শারদ মেঘের আহ্বানে হেমন্তের আগমন,
দূর্বার কোমল শিরে স্বপ্ন বোনে ভোরের শিশির।
মরা কার্তিকের রোদ লাগে ভিটের উপর,
মঙ্গা আসে, শুনি ভুখা মানুষের গান।

নীরব বিপ্লব চলে ধানক্ষেতে।
পেয়ে যাই আউসের চিঠি,
ভেসে আসে সোনারঙ হেমন্ত-বাতাসে।
কেটে যায় কৃত্তিকার অভিশাপ,
আদ্রা জ্বলে ওঠে আমনের মাঠে।
একী বুঝি নবান্নের ডাক পাড়ার আকাশে!

চারদিকে উৎসব অগ্র-হায়ণ,
নাইওরিরা মেতে ওঠে ধানের সৌরভে।
ফোটে ফুল মল্লিকা-শিউলি, গন্ধরাজ-হিমঝুরি,
ডাক দেয় ছাতিম-কামিনী, অশোক ও বকফুল।

নতুন ধানের ফিরনি ও পায়েসে নবান্নের গীতমালা।
এমন সময়ে জামাইয়ের আগমন হেমন্ত-উঠোনে,
চলে রাতজাগা খুনসুটি-গল্প।

মেলার উৎসবে জেগে ওঠে চিরায়ত বাংলা।
খুঁজি সেই লাঠিখেলা, চলে ঘোরাঘুরি,
খুঁজি বাউলের গান, মোয়ার পসরা,
মানুষের ভিড়ে খুঁজি বাঁশি ও শখের চুড়ি।

নবান্নের গন্ধ পেয়ে হিমালয় থেকে
শীত আসে কুয়াশা-চাদরে।
শীত এলে হেমন্তের বিদায়-লগন,
খাই খেজুরের রস মেখে ধূমায়িত পিঠেপুলি।
এভাবে আবার ঘুরে ঘুরে আসে
ঋতুর খেয়ায় চড়ে হেমন্তের দিনগুলি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতোমার পাশে একটু বসি
পরবর্তী নিবন্ধবদলে গেছে দিন