৫৭ কর্মকর্তার পদোন্নতির অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদক

নথি চেয়ে কেজিডিসিএল এমডিকে চিঠি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২০ at ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (কেজিডিসিএল) মধ্যরাতে ৫৭ জন কর্মকর্তাকে দেওয়া পদোন্নতির অনিয়ম অনুসন্ধানে এবার মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল (বৃহস্পতিবার) পদোন্নতি সংশ্লিষ্ট অফিসিয়াল ডকুমেন্ট চেয়ে কেজিডিসিএলের এমডিকে (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) চিঠি দিয়েছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত মধ্যরাতে ৫৭জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু পদোন্নতির জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশসমেত ই-নথিতে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) প্রকৌশলী খায়েজ আহম্মদ মজুমদার ‘পদোন্নতির জন্য প্রস্তাবিত কর্মকর্তাদের তালিকা (রেটিং শিটসহ) নির্দেশনা মতে আমাকে না দেখিয়ে বা কোন কিছু অবহিত না করে কমিটির নিকট উপস্থাপন করা হয়েছে, যা মোটেই সঠিক হয়নি। যাই হোক, দুদকের ছাড়পত্র, দুদকের সম্মতিসহ চাকুরি প্রবিধানমালা, পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী সব কিছু যথাযথ থাকলে কমিটির সুপারিশমতে ব্যবস্থা নেয়া যায়’ লিখে স্বাক্ষর করেন। মধ্যরাতের ওই পদোন্নতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশসহ ব্যাপক সমালোচনা হয়। ওই পদোন্নতিতে পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেকেও নিয়ম অনুসরণ না করে পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পেট্রোবাংলার পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেসহ ৫৭ কর্মকর্তাকে দেওয়া পদোন্নতির অনিয়ম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন দেওয়ার পর অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে। এর আগে থেকেই কেজিডিসিএলে নিয়োগে অনিয়ম, পদোন্নতি, অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি ক্রয় করে অর্থ আত্মসাতের বেশ কয়েকটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন তিনি। কয়েকটি অভিযোগের অনুসন্ধান পরবর্তী মামলার অনুমতি চেয়ে প্রতিবেদনও প্রধান কার্যালয়ে জমা পড়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও মামলার অনুমোদন মেলেনি।
সূত্র জানিয়েছে, কর্ণফুলী গ্যাসে ৫৭ কর্মকর্তার পদোন্নতির বিষয়ে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পদোন্নতি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় নথি চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দিয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। চিঠিটি বৃহস্পতিবার বিকেলে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দুদক থেকে দেওয়া চিঠিতে পদোন্নতির জন্য মূল্যায়িত রেটিং শিট, প্রতিবেদন, পদোন্নতি সভার কার্যবিবরণী, দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থার পদোন্নতি সংশ্লিষ্ট মূল ছাড়পত্র, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসিআর (এনুয়্যাল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট)সহ পদোন্নতির সব নথি চাওয়া হয়েছে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিন্নি কাশিমপুর কারাগারে
পরবর্তী নিবন্ধপঁচাত্তরের পর সম্ভাবনা আর অধিকার হারিয়েছিলাম