সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরায় ট্রাক খাদে পড়ে চালক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মোহাম্মদ এরশাদ (২৭)। তার বাড়ি নোয়াখালী বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ছোট কুমিরাস্থ গুল আহম্মদ জুট মিলের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার আতিকুর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সন্নিকটে একটি ট্রাক রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় ট্রাকের ভিতর আটকা পড়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে চালক মারা যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার এসআই আবুল হাসনাত বলেন, নিহত ট্রাক ড্রাইভারের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান, আনোয়ারার গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় পিএবি সড়কের শোলকাটায় ট্রাক-টেক্সি-রিক্সাভ্যান ত্রিমুখী সংঘর্ষে মো. হানিফ (৬৫) নামে ১ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। অপর ঘটনায় গতকাল সকাল ৭টায় চাতরী ইউনিয়নের কেয়াগড় গ্রামে শ্রমিক বহনকারী একটি জিপ স্মরণি বড়ুয়া (৫) নামের এক শিশুকে ধাক্কা দিলে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ী উদ্ধার করলেও মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে।
আনোয়ারা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক কমল মার্মা জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় সিরাজগঞ্জ থেকে গরু বাহনকারী একটি ট্রাক আনোয়ারা সরকার হাটে যাওয়ার পথে পিএবি সড়কের শোলকাটা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ১টি ভ্যান ও যাত্রীবাহী সিএনজি টেক্সির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সিএনজি চালক বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের ওয়াইজর পাড়ার বাসিন্দা মো. হানিফ (৬৫) ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। এ ঘটনায় রায়পুর ইউনিয়নের হাজিরপাড়া গ্রামের ছৈয়দ আহমদের পুত্র ভ্যান চালক মো. শফিক (৪৮), বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ গ্রামের ফজলুর রহমানের পুত্র মো. সানোয়ার (৩২) আহত হন। অপর দিকে সকাল ৭টার সময় উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কেয়াগড় এলাকায় কেইপিজেডের শ্রমিক বহনকারী জিপ স্থানীয় সৈকত বড়ুয়ার শিশু পুত্র স্মরণি বড়ুয়াকে (৫) ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর শিশুটির মৃত্যু হয়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) দিদারুল ইসলাম বলেন, আনোয়ারার শোলকাটা ও কেয়াগড়ে পৃথক ২টি সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।