রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। তবে তাতে গাড়ি চলছে না। ছাগলের হাট বসিয়ে রাস্তার অর্ধেক দখল করে রাখা হয়েছে। শুধু ছাগলই নয়; রাস্তা দখল করে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে ত্রিপল। এতে ওয়ানওয়ে সড়কের পুরো একপাশ বন্ধ রয়েছে। এতে চলাচল করতে পারছে না গাড়ি। এছাড়া ব্যস্ততম এই এলাকার অর্ধেক রাস্তা দখল করে বাজার স্থাপন করায় স্থানীয় পথচারীদের চলাচলেও মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্ট্যান্ড রোড থেকে পোস্তারপাড়ের দিকে একটি রাস্তা রয়েছে। বেশ কয়েকবছর আগে রাস্তাটি প্রশস্ত করে ওয়ানওয়ে করা হয়। রাস্তার মাঝে ডিভাইডার দিয়ে দুদিকে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। কদমতলী এলাকা হয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ও গাড়ি রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু পোস্তারপাড় মোড় থেকে মসজিদ পর্যন্ত বিস্তৃত রাস্তাটির একপাশের পুরোটাই দখল করে রেখেছে ছাগলের বাজার। এই বাজারের পাশাপাশি রাস্তাটির বড় একটি অংশ জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে গাড়ির ‘অবৈধ স্ট্যান্ড’। রাস্তা জুড়ে পার্কিং করে রাখা হয়েছে অসংখ্য বাস-ট্রাক। তবে ছাগল ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, তারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে ইজারা নিয়েই বাজার পরিচালনা করছেন। তবে ছাগলের বাজারটি যথাযথভাবে রেখে রাস্তাটিকে পুরোদমে চালু করার সুযোগ রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো মন্তব্য করেছে। গতকাল সরজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনৈক কামরুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ছাগলের বাজারটিকে রাস্তার একপাশে সুশৃঙ্খভাবে দাঁড়াতে দিলে বাকি অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারে। পোস্তারপাড় পুকুরের একটি অংশ ভরাট করে রাস্তাটি করা হলেও তা মানুষের কাজে লাগছে না।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটির নিয়ন্ত্রণ সিটি কর্পোরেশনের। এখানে দীর্ঘদিন ধরে একটি ছাগলের হাট বসে। তাই কিছুটা অসুবিধা হলেও ছাগলের হাটের কারণে রাস্তাটি পুরোপুরি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পোস্তারপাড় ছাগলের বাজারটি শুধুমাত্র কোরবানির সময় আমরা ইজারা দিই। ওই সময়ের জন্যই বাজারটি বৈধ। কোরবানির ১০ দিন ছাড়া বাকি সময়ের জন্য কোন ইজারা দেয়া হয় না। এটি অবৈধ বাজার। এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান চসিক প্রশাসক।