আচ্ছা! তুমি কি সমুদ্রের মতো,
প্রবল ঢেউয়ে আঁছড়ে পড়ে তীরে,
সব ভাসিয়ে নাও?
নাকি কালবৈশাখীর ঝড়ের মতো,
এক লহমায় উত্তাল বাতাসে,
ভেঙে চুড়ে সব একাকার করে দাও?
আচ্ছা, তোমার কি ঝাকড়া চুল,
কাকের বাসার মতো!
শহরের বুকে পথ চলতে চলতে,
ঘর্মাক্ত এক ক্লান্ত পথিক?
নাকি দৃঢ় ভারী গম্ভীর স্বরের,
শুদ্ধ কবিতা আওড়ানো যুবক,
উঁচু নাক স্বভাবী, ভীষণ দাম্ভিক?
তোমার কথার ভাঁজে কি আটকে যায়?
হাজার হাজার কোমল হৃদয়ের তরুণী!
নাকি, তুমি জলন্ত গণগণে সূর্যের মতো,
জৈষ্ঠ্যের কাঠফাটা রোদে পুড়িয়ে ফেলছো ধরণী।
কি জানি! তুমি কেমন!
সে তো আমি তোমায় খুঁজেছি,
হাজার কবিতার শব্দে।
তবুও এমন এই অদ্ভুত মায়ায়,
ছন্দবিহীন এই জীবনযাত্রায়,
আমাদের যদি দেখা না হয় কোন কালেও
পৃথিবীর শেষতম দিনে,
চিরদিনের মতো অস্তিত্বহীনে,
আমারে যদি মনে পড়ে প্রিয়!
বুনোফুলের ঘ্রাণ মেখে নিও।