কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতির প্রাণ প্রবাহের সম্পর্ক। তাই এটিকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। গতকাল শনিবার নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্ণফুলী নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার প্রত্যয়ে দুদিনব্যাপী কার্যক্রমের সমাপনী দিনে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে যে আনন্দময় ও একটি উপার্জনমুখী জীবনধারা দীর্ঘকাল ধরে বিবর্তিত হয়ে আসছে তা আজ অনেকাংশে ঐতিহ্য হারিয়েছে। সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে একটি ইতিবাচক দায়বদ্ধতা পূরণে সচেষ্ট হয়েছি। কর্ণফুলীর সাথে জাতীয় অর্থনীতি প্রাণ প্রবাহের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক মূলত অর্থনৈতিক এবং কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়।
তিনি বলেন, এই কর্ণফুলী নদীকে কেন্দ্র করে যাদের জীবন-জীবিকা আবর্তিত তাদেরকে আমাদের লক্ষ্য ও অভীষ্টের সাথে একীভূত করতে পারলে কর্ণফুলী নদী বাঁচবে, আমরাও বাঁচব এবং দেশ বাঁচবে। খবর বিডিনিউজের।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি কর্ণফুলী নদী আজ কতটা বিপন্ন এবং দখল ও দূষণের ফলে গভীরতা ও প্রশস্ততা হ্রাস পেয়ে ক্রমশ ক্ষীণকায় হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় কর্ণফুলী নদীর অতীত স্বাভাবিক প্রবহমানতা ও উদ্বেলিত যৌবন ফিরিয়ে আনতে না পারলে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর ধ্বংসের মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, কর্ণফুলীকে দখল ও দুষণমুক্ত করার আন্দোলন কোনো আঞ্চলিক ইস্যু নয়, এটা একটি জাতীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের অঙ্গীকার। যে কারণে কর্ণফুলী দখল ও দূষণ হচ্ছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয়, প্রতিষ্ঠানগত ও সামাজিকভাবে আমাদেরকে কর্ণফুলীসহ বাংলাদেশের সকল নদ-নদীর প্রাণপ্রবাহ বহমান রাখার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সফর আলী, নোমান আল মাহমুদ, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, হাজী বেলাল আহমেদ, এস এম পেয়ার আলী, আলীউর রহমান, শাহ আলম, জাফর আহমদ, হাসান মুরাদ বিপ্লব ও শৈবাল দাশ সুমন।
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড় ইছানগর থেকে নৌকা বাইচ শুরু হয়ে উত্তর তীরের অভয়মিত্র ঘাটে গিয়ে শেষ হয়। এই প্রতিযোগিতায় ১০টি দল অংশ নেয়। প্রথম হয়েছে শিকলবাহা ব্লক পাড়া শেখ আহমদ মাঝির দল। দ্বিতীয় হয়েছে চট্টগ্রাম ইছানগর বাংলাবাজার ঘাট সাম্পান মলিক সমিতির সভাপতি মো. লোকমানের দল। তৃতীয় হয়েছে মাদ্রাসা পাড়া এক নম্বর গেট চরপাথরঘাটার পক্ষে মো. তারেকের দল।