ভারতের প্রথম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ভানু আথাইয়া আর নেই। মেয়ে রাধিকা গুপ্ত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মুম্বাইয়ে ঘুমের মধ্যে তার মা মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ভানু আথাইয়া কিছু দিন ধরে হালকা জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। এটি অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। এজন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছিল তাকে। ২০১২ সালে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
১৯৮৩ সালে ব্রিটিশ চলচ্চিত্রকার লর্ড রিচার্ড অ্যাটেনবোরার ‘গান্ধী’র অসামান্য পোশাক পরিকল্পনার জন্য অস্কার জিতে ইতিহাস গড়েন ভানু আথাইয়া। মহাত্মা গান্ধীর বায়োপিক তাকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে ১৯২৯ সালের ২৮ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন ভানু আথাইয়া। তার বাবা ছিলেন আলোকচিত্রী। ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা বাবুরাও পেইন্টারের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি।
১৯৫৬ সালে গুরু দত্তের ‘সিআইডি’র মাধ্যমে বড় সুযোগ পান ভানু আথাইয়া। পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে ভারতের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তার পোশাক পরিকল্পনায় সাজানো আশুতোষ গোয়াড়িকর পরিচালিত আমির খানের ‘লগান’ অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল।
ভানু আথাইয়া যেসব ছবির পোশাক পরিকল্পনা করেছেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গুরু দত্তের ‘পিয়াসা’ (১৯৫৭) ও ‘কাগজ কে ফুল’ (১৯৫৯), যশ চোপড়ার ‘ওয়াক্ত’ (১৯৬৫), সত্যেন বোসের ‘রাত অউর দিন’ (১৯৬৭), বিজয় আনন্দের ‘গাইড’ (১৯৬৫), ‘তিসরি মঞ্জিল’ (১৯৬৬) ও ‘জনি মেরা নাম’ (১৯৭০), সুভাষ ঘাই পরিচালিত ‘কর্জ’ (১৯৮০), কে. বালাচন্দরের ‘এক দুজে কে লিয়ে’ (১৯৮১), কমল আমরোহির ‘রাজিয়া সুলতান’ (১৯৮৩), মুকুল আনন্দের ‘অগ্নিপথ’ (১৯৯০), শশী কাপুরের ‘আজুবা’ (১৯৯১), বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘১৯৪২ অ্যা লাভ স্টোরি’ (১৯৯৪)।