কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন রাইখালী ইউনিয়নে সন্ত্রাসী কর্তৃক নিহত বসন্ত তনচংগ্যার (৩৫) হত্যা ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রত্না তনচংগ্যা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে হত্যা কান্ডের ৪৮ ঘন্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামী ধরতে পারেনি। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি (তদন্ত) মো. সাইফুল আজম জানান বসন্ত তনচংগ্যা হত্যা ঘটনার প্রায় ১২ ঘন্টা পরে তাঁর স্ত্রী রত্না তনচংগ্যা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে তিনি মামলায় কোন আসামীর নাম উল্ল্লেখ করেননি। নিহত বসন্ত তনচংগ্যার সাথে কারো পূর্ব শত্রুতার কথাও পরিবারের কেউ বলতে পারেননি।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, মামলায় কোন আসামীর নাম উল্ল্লেখ না থাকলেও অপরাধীদের ধরতে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান পারিচালনা করছে। যেসব স্থানে সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা রয়েছে সেসব স্থানে পুলিশ বারবার হানা দিচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন আসামী ধরা সম্ভব হয়নি। ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত কারো নাম পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
নিহতের স্ত্রী রত্না তনচংগ্যা, প্রত্যক্ষদর্শী এবং চন্দ্রঘোনা থানা সুত্রে জানা গেছে গত ১১ অক্টোবর সকাল প্রায় ৭টার সময় বসন্ত তনচংগ্যা রাইখালী ইউনিয়নের করিগরপাড়ার বাসা থেকে মোটর সাইকেলে চড়ে স্থানীয় বাজারে যান। এসময় কয়েকজন সন্ত্রাসী তাঁর পথ রোধ করে তাকে খুব কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করেন। গুলিতে বসন্ত তনচংগ্যার তাৎক্ষনিক মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাঙামাটি মর্র্গে পাঠায়। এই ঘটনার পর সমগ্র এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সমগ্র এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে বলে চন্দ্রঘোনা থানা সূত্রে জানা গেছে।