বিক্ষোভের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন কিরগিজিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কুবাতবেক বরোনভ। বিক্ষোভকারীরা দেশটির পার্লামেন্ট দখলে নেয়ার পর মঙ্গলবার নির্বাচনের ফল বাতিল ঘোষণা করা হয়।
প্রবল বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী কুবাতবেক। তার পদত্যাগের খবর কিরগিজিস্তানের সংসদ প্রেস সার্ভিস সর্বপ্রথম প্রচার করে। সংসদের পক্ষ থেকে বিরোধী রাজনীতিক সাদির ঝাপারভকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
গত রবিবার দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশ হলে কারচুপির অভিযোগ এনে একদিন পরই বিক্ষোভে নামে বিরোধী দলগুলো। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বিরোধীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাসবেক আতামবায়েভকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুরোনবাইয়ের সঙ্গে মতদ্বন্দ্বতা সৃষ্টি হলে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
গেল রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে অংশ নেয়া ১৬টি দলের মধ্যে মাত্র চারটি দল পার্লামেন্টের আসন পাওয়ার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করেছে। যার মধ্যে তিনটি দল আবার প্রেসিডেন্ট সরোনবাই জিনবেকভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে দুটি দল ২৫ শতাংশ করে ভোট পেয়েছে।
দেশটির আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আসন বন্টন করা হয়। তবে পার্লামেন্টে কোনো আসন পেতে গেলে কোনো দলকে ন্যূনতম সাত শতাংশ ভোট পেতে হয়। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা জানান, দেশটির নির্বাচনে ভোট কেনাবেচা এবং হস্তক্ষেপের দাবি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ এবং মারাত্মক উদ্বেগের কারণ। এরপরই রাজধানী বিশকেকসহ বিভিন্ন শহরে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ।