চন্দ্রবালা সোনার মেয়ে চাঁদের মতো হাসে
পুতুল খেলায় দিন যেত তার আনন্দ উল্লাসে।
আচমকা এক সকালবেলা খেলনাপাতি ভাঙল
লালটুকটুক সিঁদুরে তার কপালখানি রাঙল।
বাল্যবিয়ের সমাজনীতির খপ্পড়ে সে পড়ল
কেউ দেখেনি এক নদী জল চোখ থেকে তার ঝরল।
কপাল ভাঙা সেই যে শুরু নদীর পাড়ের মতো
মরল স্বামী, চন্দ্রবালা দুঃখভারানত।
এমন হাজার ছোট্টখুকুর মনের যত কষ্ট
দেখতে পেয়ে বিদ্যাসাগর বুঝতে পারেন পষ্ট–
অন্ধে ভরা সমাজটাকে বদলে দিতে হবে
বুকভাঙা ঝড় আসবে কেন খুকুর শৈশবে?
পড়াশোনা করবে না সে, জীবন কেন রুদ্ধ
জীবনটাকে বাজি রেখে করল শুরু যুদ্ধ।
শিশু যাবে হেসে খেলে ইশকুলে নির্ভয়ে
সময়টা যাক মগ্ন হয়ে বর্ণপরিচয়ে।
সমাজ যখন অন্ধকারে, মানুষ যখন ভয়ে
বিদ্যাসাগর ওঠেন জ্বলে আলোর মশাল হয়ে।