ডিনামাইট আবিষ্কারক ছিলেন আলফ্রেড নোবেল। নোবেল শৈশব থেকে জীবনের পুরোটা সময় কাটিয়ে ছিল গোলা–বারুদ নিয়ে। ছোট বেলায় খুব একটা সুস্থ ছিল না নোবেল। ১৮৩৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন নোবেল। জন্মলগ্ন থেকেই নোবেল ছিলেন পেটরোগা। বাবা ইমানুয়েল কখনো স্বপ্ন দেখেননি নোবেলকে নিয়ে। নোবেল কখনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও অর্জন করেননি। কিন্তু,বাসায় চালিয়ে যেতেন ইতিহাস, বিজ্ঞান, আর সাহিত্য চর্চা। তবে জ্ঞান কুড়ানোর জন্য নোবেল ভ্রমণ করেছেন দেশ থেকে দেশান্তর।
আজ পৃথিবী উন্নতির চরম শিখরে। এই উন্নতির এবং শান্তির জন্য দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার। আর তিনিই সেই নোবেল যার নামেই দেওয়া হচ্ছে নোবেল পুরস্কাার। মৃত্যুর আগে নোবেল তার সকল সম্পত্তি উইল করে যান, নোবেল ফাউন্ডেশন গড়ার জন্য।
পুরো পৃথিবী আজ ধ্বংসের জন্য প্রস্তুত। অথচ পৃথিবীর সকল আবিষ্কার মানুষের কল্যাণের জন্য তৈরী বা আবিষ্কার করা হয়েছিল।
উন্নততর রাষ্ট্রগুলো গোলা বারুদে ভরপুর। তাদের কথায় দেশ–রাষ্ট্র উঠছে বসছে মিনিটে হুমকি দিচ্ছে। তারা কি পারবে এই পৃথিবী শেষ করে নতুন আরেকটি পৃথিবী ফিরিয়ে আনতে? তবুও নোবেল শান্তির দূত। এক ভয়ানক বিস্ফোরণের পর জঞ্জাল সরাতে গিয়ে নোবেল আবিষ্কার করেন ডিনামাইট যা নাইট্রোগ্লিসারিন আর বালুর মিশ্রণে তৈরী করে পেষ্ট,আর সে পেষ্ট ছুড়ে মারলে কিংবা পোড়ালে সৃস্টি হয় মহাবিস্ফোরণের মতো ধ্বংস যজ্ঞ। পৃথিবীতে সব কিছু লুকিয়ে আছে। আপনি সন্ধানী হোন যা আজ পারেননি হয়তো কাল সম্ভব হবে। খুব কম সংখ্যক লোক টপ টেন কিংবা দশের ঘরে আসতে পরে। তার মানে এই নয় আপনাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। যা ঘটছে শুধু কারণ বের করার চেষ্টা করোন। না পরলে লেগে থাকুন আলবার্ট আইনস্টাইন কিংবা নিলস বোর স্যার আইজ্যাক নিউটন যাদের মতো আপনার মধ্যে ও সুপ্ত প্রতিভা লুকিয়ে আছে। আজ না হলে পরশু, একদিনতো হবে। নিচ থেকে তাকালে হিমালয় অনেক উঁচু, সে অনেক দূর তেংজিং নোরগে আর এডমন্ড হিলারি পাড়ি দিয়েছিল। তাদের অর্জন আমার আর আপনার কাছে স্বপ্ন হতে পরে। কিন্তু তাদের কাছে শুধু শক্তি বর্ষিত ছিলোনা ছিল সাধনা,ত্যাগ। পৃথিবী তার সমস্ত রহস্য উন্মুক্ত রেখেছে কোন কিছুই ধামাচাপার মধ্যে নেই।
আপনার প্রয়োজনে আপনাকে লড়তে হবে পাড়ি জমাতে হবে অন্যপক্ষে যেখানে আপনি আমি সম্পূর্ণ আলাদা কেউ।