বাঁশখালীর প্রধান সড়কে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সানলাইন চালক মো. ফারুক(৩০) রবিবার রাত সাড়ে নয়টায় চমেক হাসপাতালে মারা গেছেন। দুর্ঘটনার সময় মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়া ফারুক অবশেষে দীর্ঘ ১২ দিন পর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের দমদমা দিঘী এলাকায় বাঁশখালীর স্পেশাল সার্ভিস ও পেকুয়ার সান লাইনের দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই বাসের প্রায় ৩০ জন যাত্রী আহত হন, গুজব ছড়িয়ে পড়ে সানলাইন চালক ফারুকসহ বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। তবে গাড়ির ভিতরে আটকে পড়া বাঁশখালীর সাধনপুর দুয়ারী পাড়া এলাকার মৃত জেবল হোসেনের পুত্র সানলাইন চালক মো. ফারুককে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস টিম বের করে আনে।
সে ঘটনার পর থেকে চমেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফারুক। গত রোববার রাতে তিনি মারা যান। ফারুকের স্ত্রী রুমা আক্তার এবং রিয়াদ ও আয়াত নামে দুই ছেলে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য বাঁশখালীর সরু সড়কে অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে। তার উপর অধিকাংশ গাড়ির ফিটনেস নেই, চালকের নেই কোন লাইসেন্স। হেলপার হয়ে যায় চালক। যার ফলে এ সড়কে দুঘর্টনা যেন নিত্যসঙ্গী ।