চট্টগ্রাম-সিলেট রেল-লাইন: অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে

| বৃহস্পতিবার , ২৩ জুন, ২০২২ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

আমার সন্তানকে সিলেট ক্যাডেট কলেজে ভর্তির সুবাধে আমাকে প্রায়শঃ সিলেটে যাওয়া আসা করতে হয়। তাছাড়া চাকরির সুবাধেও অতীতে দুই বছরের বেশি সময় সিলেটে ছিলাম। এ রুটে পাহাড়িকা ও উদয়ন নামে দু’টি ট্রেন চলাচল করে থাকে। আমি সব সময় এসি (স্নিগ্ধা) টিকেটে ভ্রমণ করে থাকি। অর্থনীতির ছাত্র হিসাবে আমার good externality ও bad externality সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে। আমার সিলেট ভ্রমণ নিরুপদ্রপ হওয়ার কথা থাকলেও আমার মত অনেক যাত্রী নানান অসুবিধার শিকার। এত বেশি bad externality এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়, Compensation পেলে আমার আর টাকা পয়সা দেওয়া লাগে না।

শুধু আমি কেন, যারা এটার শিকার সবার compensation পাওয়া দরকার। আমরা যখন কোনও দ্‌্রব্য ও সেবা ভোগ করি তখন তৃতীয় কোন পক্ষ এখানে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে bad externality সৃষ্টি হয়। এখানে রেল কর্তৃপক্ষের সাথে টিকেট ক্রয়ের মাধ্যমে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি হলেও তৃতীয় পক্ষ বিশেষ করে অন্য যাত্রী, মাঝপথে উঠা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের হয়রানি, বিভিন্ন ষ্টেশন থেকে উঠা হকারের চিৎকার, ভিক্ষুকের গানে গানে ভিক্ষা ইত্যাদি। একবার ভাবুন, কী যন্ত্রণার রেল ভ্রমণ! যদি রাতে হয়, আরো ভয়াবহ অবস্থা।

কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু বলতেই হয়। অন্য একদিন সিলেট যাওয়ার পথে রেলের prayer room এ নামাজ পড়তে গেলে prayer room ব্যাপক টিকেটবিহীন যাত্রীতে ভরা। এটা নিশ্চিত যে prayer room এর জন্য কোন টিকেট বিক্রি হয় না। তাহলে এ টাকা কার পকেটে যায়? আমি facebook এ বিষয়টি নিয়ে তৎক্ষণাৎ লিখলে, রেলওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টির তাৎক্ষণিক সমাধান মেলে এবং আমি নামাজ আদায় করি। কিন্তু পরের ঘটনা আগের মতই।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য বিষয়টি কি সমাধান অযোগ্য? কী বলবেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তারা?

সিরাজ উদ-দৌলা
ব্যাংকার
পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহরীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় : কবি ও অভিনেতা
পরবর্তী নিবন্ধআত্মতৃপ্তি, আত্মবিশ্বাস, আত্মঅহংকার ও আত্মমর্যাদা