চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ২৩৬ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নগরীর হালিশহর আনন্দবাজারে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং জোনে বড় গর্ত করে এ সব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে। ধ্বংসের তালিকাভুক্ত মোট ৩৮২ কন্টেনার পণ্যের মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল এবং কফি।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার সন্তোষ সরেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ৮ দিন আগে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮২ কন্টেনার পণ্যের ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে আমরা প্রতিদিন সমপরিমাণ পণ্য ধ্বংস করতে পারিনি। গড়ে আমরা প্রতিদিন ৩০টির কাছাকাছি কন্টেনার ধ্বংস করেছি। পুরো ধ্বংস কার্যক্রম শেষ করতে আমাদের আর ৪দিন লাগতে পারে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, নিলাম অযোগ্য পণ্য বন্দরের জন্য একটি বিশাল সমস্যা। অনেক সময় আইনি জটিলতায় নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করতে পারে না কাস্টমস। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে এ সব কন্টেনারের জন্য জট লেগে যায়। নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের জন্য কাস্টমসে স্থায়ীভাবে একটা স্থান নির্ধারণ করা উচিত।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরেও কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস।