স্বামীর খোঁজ এবং মিটমাট করে দেওয়ার নাম করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে ডেকে এনে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় নগরীর খুলশী থানায় ৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে এ মামলা রেকর্ডের পর অভিযান চালিয়ে আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুলশী থানার ওসি শাহীনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রধান আসামি মনিরকে শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মনির তার পরিবার নিয়ে নগরীর লালখান বাজারের মতিঝর্ণা ১৪ নং গলির মুখে ফজল কোম্পানির বাসায় ভাড়া থাকেন। এলাকায় তিনি পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে খুলশী থানার ওসি বিষয়টি অবগত নন বলে দাবি করেন। এদিকে, শনিবার রাতে ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসা থেকে ছুরিও উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল ভোরের দিকে লালখান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুদ, দিদার ও সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি। মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা করা হবে বলে জানান তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর বাড়ি কুমিল্লার এলিটগঞ্জে। স্বামীসহ নগরীর লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় ভাড়া থাকতেন এ দম্পতি। তিন মাস আগে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে কুমিল্লা চলে যান। মতিঝর্ণা এলাকায় থাকায় আগে থেকে মনিরের সাথে পরিচয়। সমপ্রতি মনির ওই গৃহবধূকে ফোন করে তার স্বামীর সাথে দেখা হয়েছে বলে জানান। স্বামীর সাথে মিলমিশ করে দেওয়ার কথা বলে তাকে চট্টগ্রামে আসতে বলেন। স্বামীর খোঁজ পাওয়ার আশায় শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে আসেন তিনি। রাতে ওই গৃহবধূকে নিজের বাসায় নিয়ে যান মনির। মনিরের স্ত্রী পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার সকালে স্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর খুলশী থানায় গিয়ে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন। পরে তাকে চমেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
