আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএসএমডি) নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। খবর বাংলা/বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, করোনার টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিধি মানার বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, জনগণ সরকারকে সহযোগিতা না করলে দেশ থেকে করোনামুক্ত হবে না। তাই দেশের জনগণকে দেশ থেকে করোনামুক্ত করতে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। এ সময় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএসএমডি) পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।
টিকার পরবর্তী চালান ২৬ মার্চের পর: এদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পরবর্তী চালান আগামী ২৬ মার্চ বা তার পর আসতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। গতকাল রোববার তেজগাঁওয়ে সিএমএসডির নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ২৬ মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসবেন, আমার মনে হয় উনার সফরের সাথে বা উনার সফরের পরপরই আমরা সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে মার্চ মাসের যে চালান সেটি পাব।
এ ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। এমনও হতে পারে যে মার্চেরটা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। আমাদের কাছে যতটুকু সংবাদ। সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গতবছর নভেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে। তার আগে ভারত সরকার উপহার হিসেবে যে ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছিল, সেটাও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যা তারা বাজারজাত করছে কোভিশিল্ড নামে।