চট্টগ্রামে মাত্র ৬ দিনের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণ অন্তত ৯ গুণ বেড়েছে। সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিকে উদ্বেগজনক বলছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, নতুন বছরের প্রথম দিনে (১ জানুয়ারি) ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয় চট্টগ্রামে। আর ৭ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮২ জনের। হিসেবে ৬ দিনের ব্যবধানে শনাক্তের সংখ্যা ৯ গুণ বেড়েছে।
শুধু শনাক্তের সংখ্যা নয়, সংক্রমণ বৃদ্ধির হারও উদ্বেগজনক। ১ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৮৯ টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৯ জনের। শনাক্তের হার ছিল ০.৬০ শতাংশ। ৬ দিনের ব্যবধানে (৭ জানুয়ারি) শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ। এদিন ১ হাজার ৮৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮২ জনের। শনাক্তের হার ৪.৪১ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, ১ জানুয়ারি ৯ জনের করোনা শনাক্তের পর ২ জানুয়ারি শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ জন। ৩ জানুয়ারি শনাক্ত হয় ২৩ জনের। ৪ জানুয়ারি শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫ জনে। ৫ ও ৬ জানুয়ারি শনাক্তের এ সংখ্যা ৫৩ জন করে। আর সর্বশেষ ৭ জানুয়ারি ৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা গত কয়েক মাসে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে চট্টগ্রামে। আর জানুয়ারির প্রথম দিকে এসে সংক্রমণ ও শনাক্তের হার যেন লাফিয়ে বাড়ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সকলকে এখনই সচেতন ও সতর্ক হওয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়া। তিনি বলেন, জনসাধারণের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে সরকারকে এখন থেকেই কঠোর অবস্থান নিতে হবে। কেবল কাগজে-কলমে নির্দেশনা জারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না।
সংক্রমণ হার বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্টত দৃশ্যমান জানিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সারা দেশেই সংক্রমণ বাড়ছে। চট্টগ্রামেও বাড়ছে। এই সংক্রমণ বৃদ্ধি আমাদের যেন আশঙ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ঢাকায় এরইমধ্যে ভাইরাসের অমিক্রন ধরণ শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামেও এ ধরণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সুরক্ষা পেতে হলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে মানার বিকল্প নেই। সবাইকে ভ্যাকসিন গ্রহণেরও আহবান জানান সিভিল সার্জন।
