স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ৫০টি জাতীয় পতাকা বহন করে দেশের ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করবেন। আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি সারাদেশ ঘুরে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দেশের সকল জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ৫০টি জাতীয় পতাকা সংবলিত সুবর্ণজয়ন্তী র্যালি শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধন হবে আগামী ২৬ মার্চ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সুবর্ণজয়ন্তী র্যালি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া, অবস্থান ও প্রস্থানের একটি রুট ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই রুটম্যাপ অনুযায়ী সুবর্ণজয়ন্তীর র্যালি জেলায় অবস্থানকালে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুবর্ণজয়ন্তী মেলা, মুক্তির উৎসবসহ নানামুখী বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হবে।
এজন্য বাদ্যযন্ত্র সাউন্ড সিস্টেমসহ ৫০টি জাতীয় পতাকাবাহী পাঁচটি যানবাহন সুসজ্জিত করা, ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন এবং রুটম্যাপ অনুযায়ী সুবর্ণজয়ন্তী র্যালি সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে পরবর্তী জেলায় পৌঁছানোসহ এ কর্মসূচি আয়োজনের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
র্যালির যাত্রা শুরু হবে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে। সেজন্য ওই স্থান সজ্জিত করা, সঠিক রঙ ও মাপের ৫০টি জাতীয় পতাকা তৈরি, বাদ্যযন্ত্র, সাউন্ড সিস্টেমসহ পাঁচটি যানবাহন সুসজ্জিত করা, ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচনসহ এই কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করার জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসককে আলাদা আরেকটা চিঠি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে গত ৩ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা কমিটির বঠকে বছরব্যাপী কর্মসূচির প্রস্তাবটি পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি নেওয়া হয়।







