৫ লাখ টাকা জরিমানা

ট্যাগ পরিবর্তন করে ক্রেতা ঠকানোসহ নানা অপরাধ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২০ এপ্রিল, ২০২২ at ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

পৃথক অভিযানে নগরের বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটের নয়টি দোকান, একটি অয়েল মিল, একটি হোটেল ও দুটি পরিবহন (বাস) সার্ভিসকে ৫ লাখ ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশানের উদ্যোগে গত দুদিনে পরিচালিত অভিযান এ জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে ট্যাগ পরিবর্তন করে ক্রেতা ঠকানোর এপেক্স সু’সহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে। এছাড়া জেলা প্রশাসন দুটি বাস সার্ভিসসহ চারটি দোকানকে ২৭ হাজার টাকা এবং সিটি কর্পোরেশন একটি অয়েল মিলসহ দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

ট্যাগ পরিবর্তন করে প্রতারণা : পণ্যের প্রাইজ ট্যাগের উপর নতুন প্রাইজ ট্যাগ দিয়ে ভোক্তাদের নিকট থেকে বাড়তি মূল্য নিচ্ছিল নগরের আফমি প্লাজার এপেঙ সু’র একটি আউটলেট। গতকাল ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে এর সত্যতা মিলে। ক্রেতা ঠকানোর অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আগের দিন সোমবার স্যানমার ওশ্যান সিটি শপিংমলে মূল্য ট্যাগ পরিবর্তন করে ক্রেতা ঠকানোর দায়ে গিগল নামের নামে একটি পোশাকের দোকানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি মূল্য ট্যাগ পরিবর্তন করে ২ হাজার টাকার পোশাক নিচ্ছিল ৬ হাজার টাকা।
এছাড়া ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর গতকাল মিমি সুপার মার্কেটের পাশে কেবিএইচ প্লাজার সেলিম পাঞ্জাবিকে এক লাখ টাকা, রাজস্থানকে (পাঞ্জাবির আউটলেট) এক লাখ টাকা এবং ভাসাবি শপিং মল নামের প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

এসব অভিযানে অংশ নেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. দিদার হোসেন।

মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ আজাদীকে বলেন, রাজস্থান আমদানির কোনো ভাউচার দেখাতে পারেনি। এপেঙ সু পণ্যের দামের স্টিকারের উপর নতুন স্টিকার লাগিয়েছে। সেলিম পাঞ্জাবি ফিঙড প্রাইজ লিখলেও ফিঙড প্রাইজ সেট করেনি। তারা আমদানিকৃত ও অন্যান্য পাঞ্জাবির মূল্যের ভাউচারও সংরক্ষণ করেনি। ভাসাবি শপিংয়ে একটি শাড়ির মূল্য লিখেছে ২৯ হাজার ৯৭৫ টাকা। কিন্তু ক্রয় মূল্য কত সেই ভাউচার তারা দেখাতে পারেনি।

এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা চসিকের : একটি অয়েল মিলসহ নগরে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জাফর আজাদীকে জানান, অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশে তেল উৎপাদন করার অপরাধে রাজাখালীস্থ মেসার্স আওসাফ অয়েল মিলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই পরিবেশে ইফতারি সামগ্রী প্রস্তুত করার অপরাধে সদরঘাটের হোটেল ডিলাইটকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অধিক দামে পণ্য বিক্রি : অধিক দামে পণ্য বিক্রি এবং অননুমোদিত বিদেশি প্রসাধনী বিক্রি করার দায়ে মিমি সুপার মার্কেটের চারটি দোকানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে গতকাল পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা করা হয়। একই অভিযানে ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন না করার দায়ে দামপাড়ার সোহাগ পরিবহন ও শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি বাস কাউন্টারগুলোকে ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদফায় দফায় সংঘর্ষ, থমথমে ঢাকা নিউ মার্কেট এলাকা
পরবর্তী নিবন্ধআকাশ পথেও চাপ, টিকেটের দাম চড়া