দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি (সিবিএ) নির্বাচন। আগামী ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন ঘোষণা করেছে শ্রম অধিদপ্তর। গত ২৬ নভেম্বর শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ কে এম মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। একইপত্রে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিদের জন্য প্রতীকও বরাদ্দ দেয়া হয়।
শ্রম অধিদপ্তরের ট্রেড ইউনিয়ন শাখার ওই পত্রে ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নকে (রেজি. নং: বি-২০১৯) “হারিকেন”, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (রেজি. নং: বি-২১১৬) “ছাতা” এবং পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নকে (রেজি. নং: বি-২১৯৫) “চেয়ার” প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
এব্যাপারে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘নির্বাচন দীর্ঘায়িত করতে বিভিন্ন আদালতে ৭-৮টি মামলা করা হয়। আপিল বিভাগে সর্বশেষ মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার পর শ্রম অধিদপ্তর নির্বাচনের তফসিল দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩১ জুলাই সিবিএ’র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। বিগত পাঁচ বছর সিবিএ নির্বাচন না হওয়ার কারণে কোম্পানির সাথে দুইটি দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি পেন্ডিং (স্থগিত) রয়ে গেছে। এতে সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীদের স্বার্থহানি হয়েছে।’
শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.কে.এম মিজানুর রহমান শনিবার সন্ধ্যায় দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড এর সিবিএ নির্বাচন দীর্ঘদিন মামলা জটিলতার কারণে অনুষ্ঠিত হয়নি। এখন মামলা জটিলতার অবসান হওয়ায় আগামী ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ দিয়েছি। নির্বাচনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে। অন্য কোন বাধা না থাকলে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।’