সিআরবি রক্ষার আন্দোলনের সাফল্যকে চট্টগ্রামবাসীর বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্য্যের প্রাণকেন্দ্র সিআরবি ধ্বংস করে একটি মহল হাসপাতাল করার যে অপচেষ্টা করেছিল আন্দোলনের মাধ্যমে তা রুখে দিয়েছে চট্টগ্রামবাসী। নাগরিক সমাজ শ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করে আন্দোলনের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছেন সে জন্য আমি সকলকে অভিনন্দন জানাই।
গতকাল বিকেলে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ সিটি মেরের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নগারিক সমাজ চট্টগ্রামের সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, কামরুল হাসান বাদল, রাশেদ হাসন, জাবেদ নজরুল ইসলাম, এম এ জাফর, নুরল আজম রনি, মো. শাহজাহান, স্বপন মজুমদার, মো. আকতার হোসেন, নারায়ন।
মেয়র বলেন, সিআরবি রক্ষা আন্দোলনটি ছিলো অহিংস। ভালো কাজ করতে গেলে সবার সহযোগিতা পাওয়া যায়। সিআরবি রক্ষা আন্দোলনটি তার একটি প্রকৃত উদহারণ। মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে কিছু না করার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এ জন্য আমি নগরবাসীর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর সকলের মতামত নিয়ে নান্দনিক নগর গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করি। সিআরবি আন্দোলনের এই সফলতা আমার উদ্যোগকে আরো উৎসাহিত করবে। আন্দোলনের সমাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য আগামী ৫ নভেম্বর শনিবার বিকাল ৩ টায় সিআরবি চত্বরে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে বিশাল সমাবেশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম। সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণ সেই সমাবেশ সফল করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, নগরের সৌন্দর্য্যবর্ধনে আমি কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এরই মধ্যে আগ্রাবাদ রেলওয়ের জোড় ডেবাসহ অরো অনেক পরিত্যক্ত জায়গা সংস্কারপূর্বক বিনোদন স্পটে পরিণত করার প্রস্তাব রেল কর্তৃপক্ষ বরাবরে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নগরীর উন্মুক্ত জায়গা গুলো খেলার মাঠ ও শিশুদের বিনোদন স্পট তৈরির প্রস্তাবনা প্রদান করা হয়।